বাংলার উপকূলে ঝড়ের অভিমুখ জানার পরই ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনিক মহলে। রাজ্যের নিচু এলাকাগুলি থেকে লোকজনদের সরিয়ে এনে সাইক্লোন সেন্টারে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরই শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ১লক্ষ মানুষ সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রায় ৭০টি ত্রাণ শিবিরে।
আবহাওয়া দপ্তরের শেষতম পর্যবেক্ষণ বলছে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আজই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা উপকূল এড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জাওয়াদ। দিঘা থেকে কাকদ্বীপ বরাবর এগুচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। সমুদ্র বরাবর চলে গিয়ে সমুদ্রেই নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে সেটি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর থাকার জন্য ব্যাপক প্রভাব পড়বে বাংলার উপকূল সহ দক্ষিনবঙ্গে। এমনিতেই শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দিঘা, খড়গপুর, মেদিনীপুরে। শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সেই বৃষ্টি একটু বেড়েছে এবং অবিরাম বর্ষণ চলছে।
শনিবার বাজার ঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে খড়গপুর মেদিনীপুরের। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাজার রাস্তায় বের হয়নি। দিঘা এবং মন্দারমনির হোটেল গুলি ৮০% বুকিং ক্যানসেল করে দেওয়া হয়েছে। যে ২০% পর্যটক রয়েছেন তাঁরা যাতে সোমবার অবধি সমুদ্রে না নামেন তাই দড়ি দিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড করেছে স্নানের ঘাটগুলিতে। NDRF এবং SDRF মাইকিং করে সতর্ক করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। দুর্বল কাঠামোর বাড়ি ছেড়ে সাইক্লোন সেন্টার বা নিরাপদ জায়গায় যেতে বলা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গতরাত সাড়ে ১১টা আইএমডির শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এটি অবস্থান করছে জাওয়াদ৷ বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ পূর্ব অংশ থেকে ২৫০ কিমি দূরে, পুরীর দক্ষিণ পশ্চিম অংশ থেকে ৪৩০ কিমি এবং দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম পারাদ্বীপ থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়৷
মৌসম বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ সকালে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করবে। ওডিশা উপকূল হয়ে আগামী ৫ জিসেম্বর, রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পুরী উপকূলে প্রবেশ করবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যআন্ডফলের বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি মৌসম ভবন। তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হতে পারে। তার প্রভাবে এ রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জোর সম্ভাবনা৷ রাজ্যের উপকূল এলাকাগুলি থেকে ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়৷ যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার৷
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং ঘূর্ণিঝড় থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷ বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি। কন্ট্রোলরুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে বিভিন্ন জেলার বিডিও, এসডিওদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে একথা জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আজ থেকেই থোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের হেল্পলাইন নম্বর- ৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪৷ সিইএসসির হেল্পলাইন নম্বর- ৯৮৩১০৭৯৬৬৬, ৯৮৩১০৮৩৭০০।
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, প্রজাবাড় (ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর) যত দূর চোখ যায়, সবজি…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল- ২০৮ চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী দামোদরজীউ মন্দির, হাসিমপুর (কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর জেলার…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শিব মন্দির, মিত্রসেনপুর (চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর)বহুকালের প্রাচীন নগরী চন্দ্রকোণা। ভানবংশ,…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশলক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, শ্রীরামপুর (সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর) জমিদারী গড়েছিলেন বটে, বৈষয়িক ছিলেন…
জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী রসিকনাগর জীউ মন্দির, জয়ন্তীপুর (চন্দ্রকোণা শহর) মন্দির নগরী চন্দ্রকোণা। এর…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল— ২০৪ চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, মার্কণ্ডপুর (পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর) রূপনারায়ণ নদ—মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশের…