নিজস্ব সংবাদদাতা: এক্সপ্রেস ট্রেন হলে কী হত বলা যায়না, স্রেফ লোকাল ট্রেন হওয়ার সুবাদেই এ যাত্রায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেলেন খড়গপু্র ও মেদিনীপুরের শতাধিক যাত্রী। শনিবার বেলা ১১.৪০ নাগাদ গিরি মায়দান স্টেশন পেরিয়েই লাইনচূত্য হল 38814 ডাউন মেদিনীপুর হাওড়া লোকাল। জানা গেছে সামনের ইঞ্জিনের থেকে তিন নম্বর কামরাটির চাকা লাইন থেকে নেমে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। রেল সূত্রে জানা গেছে গাড়িটি ঢিমে তালে গিরিময়দান স্টেশন থেকে বেরিয়ে সবে মাত্র অরোরা গেট লেবেল ক্রসিং পেরিয়ে খড়গপু্র স্টেশনের পথে খোলা টানেলে প্রবেশের পরেই ঘটনাটি ঘটে। বিকট একটা আওয়াজ করে গাড়ি কিছুক্ষন গড়িয়ে থেমে যায়। ওই কামরা ও আশেপাশের কামরার যাত্রীরা ভয় পেয়ে যায়। কিছু একটা অঘটন ঘটেছে আন্দাজ করে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলের পদস্থ আধিকারিক ও রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF)র জওয়ানরা। লাফ দিয়ে কামরা থেকে নেমে পড়েন অনেক যাত্রীও। চালক ও গার্ডও নেমে আসেন। দেখা যায় তিন নম্বর কামরার প্রথম চাকা জোড়া লাইন চ্যুত হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে খড়গপুর, মেদিনীপুর ও গোকুলপুর স্টেশন ম্যানেজার কে আ্যলার্ট করা হয় যাতে না পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি আপ এবং ডাউন লাইনে গাড়ী ছাড়া না হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর আপ লাইন দিয়ে দু’দিকের ট্রেনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। লাইনচ্যুত ট্রেনটির যাত্রীদের অন্য একটি ট্রেনে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
গিরিময়দান থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠেছিলেন খরিদার বাচস্পতি দাস। তিনি বলেন, ট্রেনটি সবে মাত্র গতি বাড়াতে শুরু করেছিল। আমি দ্বিতীয় কামরায় ছিলাম। হঠাৎই একটা ঘড়ঘড় আওয়াজ করে ট্রেন দুলে ওঠে। তারপর ঘটানোর আওয়াজ। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িটি সবে ছেড়েছিল বলেই গতিবেগ কম ছিল যদি এক্সপ্রেস, থ্রু ট্রেন হত তাহলে কী হত কে জানে? রেলের এক আধিকারিক জানান, কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে। যান্ত্রিক নাকি মানুষের ত্রুটি তা খতিয়ে দেখবে একটি কমিটি। তবে এই ঘটনায় কোনও ট্রেন বাতিল হয়নি। কিছুটা দেরি হয়েছে। বেলা দুটো নাগাদ ট্রেনটি সরিয়ে লাইন মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।