পশ্চিমবঙ্গ

Taliban: তালিবানি রাজ কায়েম হওয়ার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ভারতের! সঙ্কটের মেঘ চা শিল্পে

Published by
KGP Desk

নিউজ ডেস্ক: খুব একটা প্রভাব না পড়লেও, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের পণ্যের আমদানি রপ্তানি বন্ধ হওয়ার চিন্তার মেঘ চা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মাথায়। আফগানিস্তান দখল করেই তালিবানরা ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। চায়ে বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে দেশগুলি শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল আফগানিস্তান। তালিবানি রাজ যদি আফগানে কায়েম থাকে তাহলে চা শিল্পের পক্ষে তা শুভলক্ষণ নয় বলে মত চা বিশেষজ্ঞদের।

চা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(সিসিপিএ) এর সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বলেন, ‘আফগানিস্তানে চা পানের প্রবণতা বাড়ছিল। ওদের এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘকালীন মেয়াদে আমাদের জন্য ভালো নয় বলেই মনে করি।’ ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন(সিস্টা) এর সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা সংকটের কারণে এমনিতে চায়ে রপ্তানি থেকে আয় ক্রমশ কমছে। তার ওপর একটি দেশের এমন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির পরিমাণ সেটা অল্প হলেও চা শিল্পের কাছে সুখকর কোনও অনুভতি নয়।’

টি বোর্ডের শেষ ৪ বছরের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে ভারত থেকে আফগানিস্তানে চায়ের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৬ লক্ষ কিলোগ্রাম। সেবার রপ্তানিজাত আয় ছিল ১১.১৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে রপ্তানি হয় ২০.১৭ লক্ষ কিলোগ্রাম। আয় ছিল ২৬.৮৪ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে রপ্তানি ও আয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫.৬ লক্ষ কিলোগ্রাম ও ১৪.২০ কোটি টাকা। তার আগের আর্থিক বর্ষে রপ্তানি হয় ৯.৫ লক্ষ কিলোগ্রাম। আয় ছিল ১৬.৯৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে করোনা সংকটের কারণে সামগ্রিকভাবেই রপ্তানি কম ছিল। আফগানিস্তানে চায়ের বাজার যে ক্রমশ বিস্তৃত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল তা তালিবান একধাক্কায় দুরমুশ করে দিল বলে আশঙ্কায় রয়েছে এদেশের চা শিল্প।

সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে শুধু যে সরাসরি রপ্তানি হতো তা কিন্তু নয়। প্রতিবেশী পাকিস্তান থেকেও সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে যাতায়াত হত। পাকিস্তান আবার ভারতের চায়ের ক্রেতা। এখান থেকে ইমরান খানের দেশে চা যায় গড়ে ২০০ লক্ষ কিলোগ্রামের মতো। উত্তরবঙ্গের চা বাগান বিশেষজ্ঞ রাম অবতার শর্মা বলেন, ‘ভারত কম বেশি ২৫০০ লক্ষ কিলোগ্রামের মতো চা রপ্তানি করে। তার আধ থেকে ১ শতাংশ আফগানিস্তানে যায়। গত দু’বছর ধরে করোনা সংকটের কারণে এমনিতেই চা শিল্পের পরিস্থিতি ভালো নয়। ফলে ওই ক্ষতিও ফেলে দেওয়ার মতো নয়।’

Recent Posts

Temple Tell: জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল-২০৯ ।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, প্রজাবাড় (ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর) যত দূর চোখ যায়, সবজি…

11 months ago

Temple Tell: জীর্ণ মন্দিরের  জার্ণাল- ২০৮।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণ মন্দিরের  জার্ণাল- ২০৮ চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী দামোদরজীউ মন্দির, হাসিমপুর (কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর জেলার…

11 months ago

Temple Tell: জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল-২০৭।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শিব মন্দির, মিত্রসেনপুর (চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর)বহুকালের প্রাচীন নগরী চন্দ্রকোণা। ভানবংশ,…

11 months ago

Templ Tell: জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল- ২০৬।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশলক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, শ্রীরামপুর (সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর) জমিদারী গড়েছিলেন বটে, বৈষয়িক ছিলেন…

12 months ago

Temple Tell: জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল- ২০৫।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী রসিকনাগর জীউ মন্দির, জয়ন্তীপুর (চন্দ্রকোণা শহর) মন্দির নগরী চন্দ্রকোণা। এর…

12 months ago

Temple Tell: জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল-২০৪।। চিন্ময় দাশ

জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল— ২০৪ চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, মার্কণ্ডপুর (পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর) রূপনারায়ণ নদ—মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশের…

12 months ago