Sunday, May 19, 2024

Cyclone Sitrang: এপার বাংলা ছাড়িয়ে ওপার বাংলায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং! ৫ মহিলা ও ২ শিশু সহ ৯ জনের মৃত্যু

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এপার বাঁচলেও রক্ষা হলনা ওপার বাংলার। সোমবার রাতে বাংলাদেশের তিনকোনার কাছে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে ৫ মহিলা ও ২ শিশুসহ কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সেদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে ওই ৯ জনের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ চাপা পড়ে অন্যদিকে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে। প্রথম আলো আরও জানিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে এখনও ঝড়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি। যদিও বর্তমানে ঘূর্ণঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে বলে জানা গেছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম আঘাত হানে তবে ঝড় শক্তিশালী চূড়ান্ত গতি নিয়ে রাত ৯টায় উপকূলবর্তী এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের প্রথম মৃত্যু সংবাদ আসে নড়াইল জেলার লোহাগড়া এলাকা থেকে। সেখান কার উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি গাছের ডাল পড়ে মারা যান মর্জিনা বেগম (৪০) নামে এক মহিলা। বাগেরহাট সদর উপজেলার অর্জনবাহার গ্রামের মর্জিনার ১১ বছর বয়সী পুত্র সঙ্গে থাকলেও ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যায়। বাংলাদেশ পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় মূল ঝড় হলেও সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি ছিল। গৃহ পরিচারিকা হিসাবে কর্মরত মর্জিনা তাঁর ছেলেকে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে একটি মেহগনি গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।                            ভোলা জেলা থেকে দ্বিতীয় মৃত্যুর খবর আসে। সোমবার রাত নটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের দমকা হাওয়ায় গাছ পড়ে তার তলায় পিষে মৃত্যু হয় বিবি খাদিজা (৬৮) নামে এক বৃদ্ধারর। এ ছাড়া জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় মোটরসাইকেলে করে দুজন যাওয়ার সময় গাছের ডাল পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। অপরজন আহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মাইনুদ্দিন (৪৫)। তিনি পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী, বাড়ি চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ এলাকায়। এদিন বরগুনার সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় একটি ঘরের চালে গাছ পড়লে ওই ঘরে থাকা আমেনা খাতুন নামের এক বৃদ্ধার মারা যান। পরিবারের দাবি নিহত আমেনা খাতুনের বয়স ১০০ বছরের বেশি। ওই নারী রাত আটটার দিতে ঘরের ভেতর খাবার খাচ্ছিলেন। ঝড়ের সময় একটি গাছ তাঁর ঘরের ওপর পড়ে। এ সময় চাপা পড়ে তিনি মারা যান।

তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিমপাড়ায় ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হেসাখাল পশ্চিমপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার এবং তাঁদের চার বছরের শিশুসন্তান নুসরাত আক্তার। ঘটনার সময় তিনজনই ঘুমিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল ঢেউয়ে সিরাজগঞ্জে নৌকাডুবিতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার রাত নটার দিকে জেলা সদরের সয়দা ইউনিয়নের মোহনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই ছেলেসহ এক গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকাযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে ঘটনাস্থলে এক ছেলের মৃত্যু হয়। অন্য ছেলে ও তার মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁদের নাম জানা যায়নি। তবে এখন শক্তি হারিয়েছে সিত্রাং। কমানো হয়েছে বিপৎসংকেত। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

 

- Advertisement -
Latest news
Related news