Monday, May 20, 2024

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুকে পাঠানো নোটিস গিলতে হল পুলিশের! ছ’মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাক্কা রাজ্যের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশের অপরিণামদর্শীতায় বহু বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে আবারও আরেকবার ঘটল সেই ঘটনাই। তাড়াহুড়ো করে কোনও আইনি পরামর্শ না নিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে একটি মামলায় তলবি নোটিশ পাঠিয়েও তা গিলতে হল পুলিশকেই। এই প্রথম নয়, এর আগেও এই একই ঘটনা ঘটিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ। ফলে পুলিশের এই অপরিণামদর্শীতায় রাজ্য পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তি বাড়ল নবান্নের। আর মাত্র ছ’ মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় বার শুভেন্দু তলব কাণ্ডে ধাক্কা খেল পুলিশ।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

উল্লেখ্য ঘৃনা ভাষনের অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সম্প্রতি মামলা দায়ের করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার পুলিশ। অভিযোগ গত ২০ ও ২৪ অক্টোবর আসানসোল এবং নন্দকুমারে কালীপুজোর উদ্ধোবনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু তাঁর ঘৃণা ভাষণে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। প্রথমে নন্দকুমার থানায় ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কাঁথির  বাসিন্দা আইনজীবী আবু সোহেল। তাঁর অভিযোগ ছিল,দুটি সভায় বিরোধী দলনেতা যে  বক্তব্য রেখেছেন তা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের পক্ষে যথেষ্ট। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি দেশের শীর্ষ  আদালতের বিচারপতি কে.এম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন তাঁর অভিযোগপত্রে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

এই মামলা প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানিয়েছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ওই মামলা না করলে পুলিশের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার অভিযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত। ফলে আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখেই আমরা ওই মামলা দায়ের করেছি।” বাস্তবিকই সেই মামলা ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ওই মামলা বাংলার প্রথম মামলা। সেই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের নন্দকুমার থানায় হাজির হওয়ার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু         অধিকারীকে ২ নভেম্বর তলবি নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু এখানেই ভুলটি করে পুলিশ এবং এটা ছিল পুলিশের দ্বিতীয় ভুল।

ইতিপূর্বে হাইকোর্টের একটি নির্দেশে রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হলেও সেই মামলার তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে বিরোধী দলনেতার কাছ থেকেই সময় নিতে হবে। পাশাপাশি ওই নির্দেশে বলা হয়েছে বিরোধী  দলনেতার ইচ্ছামত স্থানেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। আদালত জানিয়েছিলেন, বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ব্যস্ততার কারণেই এই নির্দেশ।

নন্দকুমার থানার তলবী নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সেই নির্দেশের কথা উল্লেখ করে পুলিশকে জানিয়ে চিঠি দেন শুভেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী। আর তারপরই টনক নড়ে পুলিশের। কারন এই ধরনের তলবী নোটিশও আদালত অবমাননার শামিল। বিষয়ের গুরুত্ব বুঝেই ওই তলবি নোটিস প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। শুক্রবার রাতেই নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ কুমার ঝা ইমেল পাঠিয়ে সে কথা জানিয়েও দেন শুভেন্দুর আইনজীবীকে। প্রশ্ন হল ঠিক একই ভাবে পুলিশকে এর আগেও শুভেন্দুকে পাঠানো তলবী নোটিশ গিলতে হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই সেই নোটিশ গিলতে হয়েছিল দুর্গাচক থানাকে। ছ’মাস পার হ’লনা সেই ঘটনার ফের সেই একই ভুল! পুলিশের স্মরণশক্তি এত দুর্বল কেন? নাকি শুভেন্দুর পেছনে তাড়া করার চাপেই পুলিশের বারংবার ভুল?

- Advertisement -
Latest news
Related news