Thursday, May 16, 2024

TMC MLA: ২৩ কোটি তোলা! ‘বিধায়কের হাত থেকে বাঁচান!’ অভিষেককে চিঠি নদিয়ার বাসিন্দাদের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১টা নয়, ৩টা চিঠি পাঠানো হয়েছে নদিয়া জেলা থেকে। তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো সেই ৩ চিঠিরই বক্তব্য একই, ‘তোলাবাজ বিধায়কের হাত থেকে বাঁচান আমাদের।’ বিধায়কের কথায় ভিটে মাটি, পরিবারের মেয়েদের গহনা বেচে কিংবা বন্ধক রেখে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন নিজের কিংবা ছেলের চাকরির জন্য। চাকরি তো হয়ইনি এখন টাকা ফেরৎ পেতে কালঘাম ছুটছে তাঁদের। সব মিলিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিধায়কের তোলা আদায়ের অভিযোগ ২৩ কোটির! এমনই ৩চিঠি গেছে অভিষেকের কাছে। অভিযুক্ত বিধায়ক
নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সোমবার এমনই একটি সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে রাজ্যের সর্বভারতীয় দৈনিকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেখানে ওই দৈনিককে বিধায়ক তাপস সাহা বলেছেন এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। যে ৩টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে তা গেছে পলাশিপাড়া, তেহট্ট এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ৩টি চিঠিতেই ‘বিষয়’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিধায়ক তাপস সাহার হাত হইতে আমাদেরকে বাঁচান’। উল্লেখ্য তাপস সাহা ২০১৬ সালে নদিয়ার পলাশিপাড়া কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০২১ পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক থাকাকালীন চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু টাকা দিয়েও কারও চাকরি হয়নি বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে। এর পর সেই টাকা ফেরত চান অভিযোগকারীরা। কিন্তু বার বার চাওয়া সত্ত্বেও তাপস এখনও পর্যন্ত এক কানাকড়িও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। টাকা ফেরত না পেলে অভিযোগকারীরা আত্মহত্যা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই চিঠিতে। ২০২১ সালে তৃনমূল কংগ্রেস তাঁকে তেহট্ট বিধানসভায় দাঁড় করায়। সেখান থেকেও জেতেন তাপস।

অভিষেককে পাঠানো চিঠিতে চাকরিপ্রার্থীরা জন্য কে কত টাকা দিয়েছেন তার তালিকাও জুড়ে দিয়েছেন। সঙ্গে নিজেদের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও। জানিয়েছেন কেউ দিয়েছেন ২লাখ টাকা, কেউ ২লাখ ৭০ হাজার। কেউ আবার তাপস বাবুর কথায় পলাশিপাড়া, তেহট্ট এবং করিমপুরের বিভিন্ন জনকে চাকরি অথবা ব্যবসার লাইসেন্স করে দেওয়ার নাম করে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে। একজন তো নিজের ছেলে আর পাড়ার কয়েকজন ছেলের চাকরি করে দেওয়ার জন্য বিধায়কের হাতে ৩৬ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন। অবস্থা খুবই খারাপ তাঁদের। বিধায়কের ভরসায় কারও কারও যেমন ভিটে মাটি চলে যাওয়ার জোগাড় কেউ আবার অন্যের তাগাদায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন।

- Advertisement -
Latest news
Related news