নিজস্ব সংবাদদাতা: এক নম্বর বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষনা করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ২৬৯ জনকে। স্কুলে যাওয়া বন্ধও করে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষকরা। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ওই শিক্ষকরা। গত ১৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে ওই ২৬৯ জনকে ফের চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার ৭ই নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এমনই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই ২৬৯ জনের মধ্যে একজন শিক্ষক আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই। পর্ষদ আইনি দিক খতিয়ে দেখে বাকি ২৬৮ জনের জন্য এই বিজ্ঞাপ্তি দিয়েছে।
৭ই নভেম্বর’ ২০২২ পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ২৬৮ জন চাইলে চাকরিতে ফের যোগ দিতে পারেন। উল্লেখ্য ২৬৯ জনের মধ্যে সন্দীপ মুখোপাধ্যায় নামে একজনের চাকরি ফেরানো হয়েছে আগেই।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল ওই ২৬৯ জনকে। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় সেই মামলা। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হোক। সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ দেয়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থীকে আদত একটা সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের কাছে গিয়ে হলফনামা দাখিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা নিয়োগগুলো অবৈধ নয় প্রমাণ করতে পারেন।
ওই ২৬৯ জনকে মামলার পার্টি বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ওই প্রার্থীদের মামলায় পার্টি করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। মামলাকারীর আইনজীবীরা চিঠি পাঠান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। ২৬৯ জনের নাম, ঠিকানা , কোন স্কুলে তাঁরা কর্মরত ছিলেন, সে সব জানতে চাওয়া হয়। ওই ২৬৯ জনকে কেন বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চও। এবার সেই ২৬৯ জনকেই চাকরিতে পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বলা হল। যদিও একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় স্থগিাদেশ দিলেও চূড়ান্ত রায় দেয়নি। মামলাটি পর্যালোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে মাত্র। সেক্ষেত্রে মামলার শুনানির পরই ওই শিক্ষকদের চূড়ান্ত ভবিষ্যত জানা যাবে।