নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ঘন্টায় প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা! সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা গিয়েছিল ৩১ পড়ুয়া সহ প্রায় ৫৭জন আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু সন্ধ্যার মুখে জানা গেছে আক্রান্ত পড়ুয়ার সংখ্যাই ৬১ জন আর পড়ুয়া সহ আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur) ক্যাম্পাসে আক্রান্ত ১০০ ছুঁতে চলেছে ! আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে সোমবার সন্ধ্যায় শেষ অবধি যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে তা রীতিমত উদ্বেগের। সর্বাধিক আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১ ও ৩রা জানুয়ারির রিপোর্টে। ওই দুদিনেই আক্রান্ত মিলেছে ৪০ জন পড়ুয়া।
ইতিমধ্যেই আক্রান্ত পড়ুয়াদের নিজ নিজ ছাত্রাবাস বা ছাত্রী নিবাস থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্যার আশুতোষ মুখার্জী হোস্টেলে। সেখানেই একটি অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। যার দুটি তলে আলাদা আলাদা করে রাখা হয়েছে আক্রান্ত ছাত্র ও ছাত্রীদের। ২৪ঘন্টা মনিটরিংয়ে রয়েছেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতির অবনতি হলে আইআইটির কোনও অতিথি নিবাসকেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে আইআইটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত ২১টি হোস্টেলের মধ্যে অনেকগুলি থেকেই আক্রান্ত পাওয়া গেছে। আক্রান্ত মিলেছে মৌলানা আজাদ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, লালা লাজপত রায়, মদনমোহন মালব্য, মেঘনাথ সাহা, প্যাটেল ইত্যাদি। আক্রান্ত মিলেছে সরোজিনী নাইডু ইন্দিরা গান্ধী, নিবেদিতা ছাত্রীনিবাস থেকেও। মোটামুটি ভাবে মোট আক্রান্তের একতৃতীয়াংশ ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি বিচার করে অফলাইন বা সরাসরি পাঠের পরিকল্পনা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহেই নতুন করে সরাসরি শ্রেণীকক্ষ পাঠ শুরু করার কথা ভেবেছিল আইআইটি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে ডিসেম্বরের শেষেই ক্যাম্পাসে এসেছিল দ্বিতীয় বর্ষের বি.টেক পড়ুয়ারা। আইআইটিতে ভর্তি হবার ১বছর পর যাঁরা প্রথম ক্যাম্পাসের মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ আপাততঃ পাচ্ছেন না তাঁরা। বাড়তি সংক্রমনে মুখে আইআইটি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন যে, অনলাইনেই ফের শুরু হবে ক্লাশ।
দেশে প্রথম লকডাউন শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ যেমনটা জানিয়েছিল যে পড়ুয়ারা চাইলে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন ঠিক তেমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সোমবার। বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিনের অনুমোদন নিয়ে হোস্টেল ছেড়ে চলে যেতেও পারেন পড়ুয়ারা কারন আপাততঃ অনলাইনেই পড়াশুনা চলবে। হোস্টেলে থাকতে গেলেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে। কী কী সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও পুরো ঠিক হয়নি তবে হোস্টেলের বাইরে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে পারে। এছাড়াও শনি ও রবিবার ক্যাম্পাসে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে এমনটাও জানা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহিরাগতদের জন্য।