নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার থেকে ফের বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যেএর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠন-পাঠন। করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আগামীকাল ৩রা জানুয়ারি থেকেই বিধিনিষেধ জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামীকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পঠন পাঠন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশে।

করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল কলেজ। গত বছর অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী জানান নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোভিড বিধি মেনে শুরু হবে ক্লাস। এরপর ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট শেষ হয়েছে।
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা চলতি সপ্তাহেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। সেই আশঙ্কা থেকেই এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ২০মাস পরে যে অফ-লাইন পঠন পাঠন চালু হয়েছিল তা মাত্র ৪৫দিন চালু হবার পর ফের বন্ধ হয়ে গেল। অন্যদিকে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টমশ্রেণী অবধি পঠনপাঠন আর চালু করা সম্ভব হলনা।
করোনা মোকাবিলায় কড়া বিধিনিষেধ জারি রাজ্য সরকারের। কাল থেকে আপাতত বন্ধ ব্রিটেনের উড়ান। এখন হচ্ছে না ‘দুয়ারে সরকার’। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। এছাড়াও সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা। বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ। সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটিপার্লার, সেলুন কাল থেকে বন্ধ। চিড়িয়াখানা সহ সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। শপিং মলে ৫০ শতাংশ প্রবেশে অনুমতি। খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রেস্তোরাঁ, পানশালাও ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলা থাকবে।
সরকারে তরফে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলবে কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার পরে বন্ধ করে দিতে হবে লোকাল ট্রেন। বাকি সময় ৫০% যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালাতে হবে। মেট্রো রেলও ৫০% যাত্রী নিয়ে চালাতে বলা হয়েছে। অন্য রাত্রি ১০টা থেকে সকাল ৫টা অবধি সমস্ত যান চলাচলে কঠিন বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ওই সময় রাস্তায় নামা যাবেনা।