নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছর পুজো হলেও পুজোতে মেতে উঠতে পারেনি বাঙালি। বছরভর উৎসবের জন্য হাপিত্যেশ করে থাকা বাঙালির কাছ থেকে উৎসব গতবছর এসেও যেন আসেনি। মন্ডপে মন্ডপে নো-এন্ট্রি বোর্ড যেমন বাঙালিকে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল তেমনি দেওয়া যায়নি অঞ্জলি, মেতে ওঠা যায়নি সিঁদুর খেলায়।

বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজো নিয়ে শুনানি ছিল। দীর্ঘ পর্যালোচনার পরই এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন দুই বিচারপতি। বলা হয়েছে, দু’টো টিকা এবং মাস্ক পরা থাকলে পুজোর যে কোনও কাজে অংশগ্রহণ করা যাবে। এদিন বৃহস্পতিবার আদালত বলেছে, মুখে মাস্ক থাকলেও সিঁদুর খেলা এবং অঞ্জলি দেওয়া যাবে। বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৪৫ জন দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন। ছোট মণ্ডপে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ঢুকতে পারবেন বলে জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য এর আগে হাই কোর্টকে রাজ্য জানিয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যদি আদালত দর্শকদের মণ্ডপে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা দেয়, তবে সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না। হাই কোর্ট অবশ্য মণ্ডপে প্রবেশে পুরোপুরি বাধা দেয়নি। তার বদলে মণ্ডপের আকার দেখে দর্শকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বলাবাহুল্য হাইকোর্টের এই নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে প্রতিমা দর্শনে ইচ্ছুক দর্শক ও ভক্তবৃন্দের মধ্যে।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে এই নির্দেশিকার পরেই নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে সরকারের বিভিন্ন স্তরে। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হতে পারে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ওই নির্দেশিকায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষভাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের কথা বলা হতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে যাতে ছোট বড় পুজোমন্ডপগুলির উদ্যোক্তারা ব্যবস্থা নেয় তা নিশ্চিত করতে বধ্যপরিকর সরকার। যদিও এবার পুজো কার্নিভাল হচ্ছেনা বলে আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।