নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের প্রথম ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত ৭ বছরের শিশু ও তার পরিবারের ২সদস্যকে নিয়ে আসা হল মালদহ মেডিক্যালের (Malda Medical Collage) কোভিড ওয়ার্ডে। যদিও ওই সদস্যরা পজিটিভ কি না, তা এখনও জানা যায়নি। পরিবারের বাকি যারা ওমিক্রন আক্রান্ত খুদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও তাঁদের রিপোর্ট হাতে আসেনি। তবে শিশুর সঙ্গে কেন তার দুই সদস্যকে হাসপাতালে আনা হল, তাঁদেরও কী করোনা পজিটিভ? এই নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
আক্রান্ত ৭বছরের শিশুটি যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয় বুধবার দুপুরে। হায়দরাবাদ থেকে ওই বালকের ও তার পরিবার তখন বাংলায় পৌঁছে গেছিল পরিবারের সাথেই। জানা গেছে বালকের বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার যিনি কর্মসূত্রে তিনি থাকেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে। আবুধাবি থেকেই সম্প্রতি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। নেমেছিলেন হায়দরাবাদে। সেখানেই নিয়মমাফিক তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা পজিটিভ এলে ওমিক্রন কি না জানতে তা পাঠানো হয় জিন পরীক্ষার জন্য। দেখা যায়, ৭ বছরের বালকটি করোনার ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত হয়েছে। মা-বাবা কিংবা দিদি, বাকি সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ।
জানা গেছে মুর্শিদাবাদের ওই পরিবারআবু ধাবি থেকে বিমানে ১০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হায়দরাবাদে (Hydrabad) নেমেছিল শিশুটির পরিবার। সেখানে আরটি পিসিআর পরীক্ষার জন্য শিশুটির লালারস সংগ্রহ করা হয়। বিদেশ থেকে আসায় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয় লালারস। বুধবার আরটি পিসিআরের ফলাফলে জানা যায়, শিশুটি কোভিড পজিটিভ। এদিনই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে জানা যায় শিশুটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
এদিকে রিপোর্ট না পাওয়ায় ওই শিশুটি হায়দরাবাদ থেকে ১১ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে। সেখান থেকে বাড়ির গাড়ি করে মালদহে আসে তারা। বুধবারও মালদহেই ছিল সে। তার ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বালককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই গত কয়েকদিনে পরিবারের সকলের সংস্পর্শে এসেছিল ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুটি। সেই কারণে পরিবারের বাকি সদস্যদের লালারস সংগ্রহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। তারপরই শিশুটির বাবা ও দিদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা খুদের পরিবারের ওই দুই সদস্যও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও তা রিপোর্ট এলেই নিশ্চিত করা যাবে। এদিকে কলকাতায় ফেরার পথে ও বাড়ি ফেরার পর পরিবারের সদস্য বাদে আর কাদের সংস্পর্শে এসেছিল, তাঁদের শনাক্ত করার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খুদের সঙ্গে একই বিমানে ফিরেছেন এমন ৩৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ১৬ জন বাংলার। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। যদিও শিশু ও তার পরিবার এখনও অবধি সম্পুর্ন সুস্থ রয়েছে।