নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপু্র, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে
বড়দিনে ঠান্ডা না থাকার আফসোস মিটিয়ে দেবে ২০২৩ সালের প্রথম দিন। ৩১ শে ডিসেম্বর, শনিবার মাঝরাতেই বাড়বে আরও শীতের দাপট। এবার নববর্ষ পড়েছে রবিবার। আম জনতার ছুটির আমেজ। গরমের জন্য পিকনিক ঠিকমত জমেনি বলে যাঁদের মন খারাপ তাঁদের মন ভালো করার সংবাদ পাঠিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, ” বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ঠান্ডার আমেজ থাকছে রবিবার, নববর্ষের দিনেও। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার একলাফে শীতের পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রীর কাছাকাছি। বিদ্যাসগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া উদ্যান সূত্রে জানা গেছে বুধবার খড়গপু্র মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রামের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল 16.19 ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর পরের দিনই তা নেমে হয়েছে 9.21 ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর খড়গপু্র মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রামের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে 9.78 ডিগ্রী ছুঁয়ে।
বুধবার মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে উত্তুরে হাওয়া। আর তারই ধাক্কায় কাঁসাই উপত্যকায় গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেছে ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি। হঠাৎ এতট তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গল মহলে কনকনে শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার সকালেও শীতের আমজ থাকবে। তবে বিকেলের পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাবে। রবিবার, নতুন বছরের প্রথম দিনে তাপমাত্রা ফের কিছুটা বেড়ে যাবে। বাধা পড়বে শীতের আমেজে। যদিও বড়দিনের মত গরম থাকবেনা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল অবধি খড়গপু্র মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রামের আবহাওয়া একদমই শুকনো থাকবে। আপাতত কোথাও তেমন কোন কুয়াশার পূর্বাভাস নেই। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের তিন দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। সে ক্ষেত্রে ফের বাড়তে পারে কুয়াশার দাপট। যদিও বাংলার অন্য অংশে বিশেষ করে আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বাকি জেলায় কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই আগামী চার পাঁচ দিন। মূলত শুষ্ক আবহাওয়া জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে। নববর্ষ কাটিয়ে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা।