নিজস্ব সংবাদদাতা: কোন্দল যেন থামতেই চাইছেনা খড়গপুর বিজেপির অভ্যন্তরে। ডিসেম্বরের গোড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে যে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল এবং যা গড়িয়েছিল শহরের এক মন্ডল সভাপতির গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে তার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল রবিবার।

এদিন পুরসভা নির্বাচন সহ সাংগঠনিক কিছু বিষয় নিয়ে আয়োজিত দলীয় সভা এড়িয়ে গেলেন খড়গপুর শহরের তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তিনি জানিয়েছেন এই সভায় তিনি ডাক পাননি। যদিও বিজেপি সূত্রে জানা গেছে ডাকা হয়েছিল বিধায়ককে।
উল্লেখ্য রবিবার বিকালে এই সভাটি আহুত হয়েছিল খড়গপুর শহরের সাউথ সাইড এলাকায় সাংসদ বাংলোতে। সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র এবং খড়গপুর শহরের তিনটি মন্ডল সভাপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মীরা হাজির ছিলেন। সূত্রের খবর আগামী পৌর নিবার্চনের প্রাথমিক প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচিত এই সভায় হিরণকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেননা। এই ঘটনায় গত বছরের শেষ থেকে শুরু হওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হাজির হল বছরের গোড়াতেও।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে সুভাষপল্লীতে হিরণ চট্টোপাধ্যায় আয়োজিত দুঃস্থদের কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানের পর শুরু হওয়া গন্ডগোলের জেরে কিছুদিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিজেপির খড়গপুর শহর উত্তর মন্ডল সভাপতি দীপসোনা ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন হিরণ গোষ্ঠীর এক নেত্রী। অন্যদিকে মেদিনীপুর সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে খড়গপুর শহরে যে ব্যানার ও হোর্ডিং টাঙানো হয়েছিল সেখানে হিরণের ছবি দেওয়া হয়নি দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের পক্ষ থেকে। এই ভাবেই বছর শেষের জমজমাট দ্বন্দ্ব গড়িয়েছিল। এবার বছরের শুরুতেই শুরু হল দলীয় সভায় হিরণের না থাকা নিয়ে বিতর্ক।
জানা গেছে রবিবার খড়গপুর শহরেই ছিলেন বিজেপির তারকা বিধায়ক। শনিবার রাতে কৌশল্যায় একটি বিক্ষোভে হাজির হতে দেখা যায় তাঁকে। তা স্বত্ত্বেও তিনি এমন গুরুত্বপূর্ণ সভায় গেলেননা কেন? বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁকে সভায় ডাকা হয় নি। আর সভাটি সাংগঠনিক। তাই হয়ত তাঁকে ডাকা হয়নি! যদিও বিজেপির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে এইদিনের সভায় হিরণকে ডাকা হয়েছিল। আর জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র বলেছেন বিধায়ক ব্যস্ত মানুষ। অন্য কোথাও হয়ত ব্যস্ত ছিলেন। তাপস মিশ্রের সহজ সরল নিপাট এই উত্তরের মধ্যে কোথাও কী কোনও কটাক্ষ ছিল? সময়ই তার উত্তর দেবে।