Thursday, May 16, 2024

Haldia: শ্যামল আদক কান্ডে ফের ধাক্কা পুলিশের! তদন্ত না করেই এফআইআরে অবাক উচ্চ আদালত

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা : একটা অভিযোগ দায়ের পর তাকে এফআইআর করতে অনেক সময় সাধারন মানুষের যেখানে পুলিশের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হয় অনেক বেশি সময় ধরে সেখানে একটি অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর রীতিমত আশ্চর্য্য করেছে কলকাতা আদালতকে। শুধু তাই নয় যে নজির বিহীন তৎপরতায় ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারি পরোয়ানা, হুলিয়া ইত্যাদি জারি করেছে এবং তা হাতে পেতে যে মরিয়াপনা দেখিয়েছে তাতেও নিজের পর্যবেক্ষন রেখেছেন। সব মিলিয়ে আবারও শ্যামল আদক কাণ্ডে জোর ধাক্কা হলদিয়া পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের। আবারও আদালত জানিয়ে দিয়েছে হলদিয়ার এই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের কোনও প্রয়োজন নেই যদি তিনি পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে থাকেন। পাশাপাশি আদালতের ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে রিট পিটিশনের একটি মন্তব্য যেখানে আইনজীবী মারফত শ্যামল দাবি করেছেন নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদল করার পর থেকেই পুলিশের এই আচরন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় হাজির হয়েছিলেন শ্যামল আদক। দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে একটি লালরঙের গাড়িতে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসেন তিনি। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত প্রায় ৪ঘণ্টা তাঁকে জেরা করে পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানীপুর ছাড়াও হলদিয়ার একাধিক থানার পুলিস আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। এদিন সন্ধে ৭টা নাগাদ তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যান। ফের তাঁকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। থানা ছাড়ার আগে হলদিয়া পুরসভার এই প্রাক্তন পুরপ্রধান সাংবাদিকদের জানিয়ে যান পুলিশের তদন্তে সাহায্য করতে এসেছিলাম, ফের আসব।

উল্লেখ্য ২৯সেপ্টেম্বর শ্যামলকুমার আদকের তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ট্রেডকন সিপিং এন্ড লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার ভবানীপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক কাজে সই ও নথি জালিয়াতির অভিযোগ করেন। যদিও পুলিশ তাঁকে ওইদিন গ্রেফতার করতে চেয়েও পারেনি কারন ওই দিনই কলকাতা ছেড়ে দিল্লি চলে যান শ্যামল। পুলিশের অভিযোগ দিল্লি পুলিশকে জানানো স্বত্ত্বেও কোনও অজ্ঞাত উর্দিধারীরা শ্যামলকে দিল্লি বিমান বন্দর থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর বাংলোয় পৌঁছে দেয়। এমনকি সেখানে ছুটে গিয়েও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি হলদিয়া পুলিশ কারন দিল্লি পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
এই অবস্থাতেই এই মামলার তদন্তে ১২সদস্যের সিট গঠন করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে। ইতিমধ্যেই
১৫অক্টোবর হলদিয়া মহকুমা আদালত হুলিয়া জারি করে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ আইনি প্রক্রিয়া হয়। এর পরই পুলিসের গ্রেপ্তারি এড়াতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন শ্যামল আদক। সেই রিট পিটিশনের শুনানি করতে গিয়ে আদালত এই মন্তব্য করেন যা ফের পুলিশকে এককদম পিছিয়ে দিল। আদালত ওই রায়ে শ্যামল আদককে আপাতত রক্ষা কবচ দিয়ে এই মামলার সামগ্রিক অগ্রগতি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এটাও পুলিশের কাছে একটি ধাক্কা। কারন এর আগেও পুলিশ শ্যামলের বিরুদ্ধে বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করে কিন্তু সেই মামলা রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে আদালত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। এখন দেখার যে এই মামলা কোনদিকে গড়ায়।

- Advertisement -
Latest news
Related news