Monday, May 13, 2024

Midnapur: নিয়ন্ত্রণ বিহীন ডাম্পার ঢুকে পড়ল চায়ের দোকানে! মৃত্যু মহিলা ও কিশোরের, অভিযোগ পুলিশের তাড়া খেয়েই ডাম্পারের বেপরোয়া দৌড়

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা : একটি নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফেরার পথে বাস ধরতে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা ও কিশোরকে পিষে দিল নিয়ন্ত্রণ বিহীন ডাম্পার। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা-হলদিয়া ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের নন্দকুমার থানা এলাকার এই ঘটনায় স্থানীয় জনতা অভিযোগের আঙুল তুলেছে পুলিশের দিকেই। জনতার অভিযোগ তোলা আদায়ের জন্যই পুলিশের একটি গাড়ি তাড়া করেছিল ওই ডাম্পারটিকে। আর সেই তাড়া খেয়েই প্রবল বেগে ছুটতে থাকা ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পাশের একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে। আর তারই জেরে অকালেই প্রাণ হারাতে হল ওই মহিলা ও কিশোরকে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

এদিন দুপুর ১টা টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ৪১ নাম্বার জাতীয় সড়কের ওপর নন্দকুমার থানার হাঁসগেড়িয়া এলাকায়। ঘটনার পরই ক্রুদ্ধ বিক্ষোভরত জনতা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থল থেকে অনতিদূরে জাতীয় সড়কের ওপরে পুলিশ মালবাহী যানবাহন দাঁড় করিয়ে তোলার টাকা তুলছিল। সেই মতো ডাম্পারটিও আটকে চালককের থেকে টাকা চায় তারা। এরপরই ওই ডাম্পারটি পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে যায় সেখান থেকে। আর তখনই নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়ির চালক। নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ডাম্পারটি পথচারীদের ধাক্কা মেরে দোকানে ঢুকে যায়। ওই দোকানের সামনেই নিজেদের বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিছু ব্যক্তি যাঁরা পাশেই একটি অনুষ্ঠানবাড়ীর মধ্যাহ্ন ভোজন করে ফিরছিলেন। তাঁদের কয়েকজনকে নিয়ে ডাম্পারটি ঢুকে যায় চায়ের দোকানে।

ভরদুপুরে চোখের সামনে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় জনতা। প্রতিবাদে অবরোধ-বিক্ষোভে সামিল হন ওই উত্তেজিত মানুষরা। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডাম্পারটি সামনে থাকা আর একটি ডাম্পারকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা মেরে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে যায়। নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ কুমার ঝাঁ বলেন, ‘দুটো ডাম্পারই হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। হাঁসগেড়িয়ার কাছে সামনের ডাম্পারকে ওভারটেক করতে গিয়ে পিছনের ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।’

পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় বেতালদিঘির বাসিন্দা ১০ বছরের বালক অনুপম মল্লিক। আহত ৩ পথচারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান খঞ্চির বাসিন্দা ৪০ বছরের পার্বতী জানা। আহত বাকি দুই ব্যক্তিও চিকিৎসাধীন তমলুক জেলা হাসপাতলে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যক্তিরাও খঞ্চি এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ডাম্পারটি বাজেয়াপ্ত করেছে। চালকের খোঁজ চলছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news