নিজস্ব সংবাদদাতা:এ যেন শেষ হয়েও হইলনা শেষ। পুজোতে বৃষ্টি হচ্ছেনা বলে যা মনে করা হয়েছিল এবং সেই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল বাঙালি। কিন্তু সেই পূর্বাভাস থেকে পিছু হটতে হচ্ছে আবহাওয়া দফতরকে। সাম্প্রতিক পাওয়া হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শেষ রক্ষা হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে। ক’দিন ধরে মারাত্মক যে গরম প্রাণ ওষ্ঠাগত করছে তা যে আসলে একটি নিম্নচাপের লক্ষন তাই মনে করা হচ্ছে এবং পূজোর শুরু থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে সেই বৃষ্টি অসুর।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে বোধনের দিনই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পরে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার প্রভাবেই ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ বিশেষ করে খড়গপু্র, মেদিনীপুর, কাঁথি, এগরা, বেলদা সহ দুই মেদিনীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে সপ্তমীর দিন বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ওই দিন রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর বলছে খড়গপু্র মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পূজো দেখার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে অষ্টমীতে। কারন ওই দিন বর্ষণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সোমবার দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। নবমীতেও পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। ওই দিন দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ভ্যাপসা গরমের কারনে যে তীব্র অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে তা বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে। বৃষ্টির সঙ্গে এই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আর যে কারনে বৃষ্টির সম্ভবনাও উত্তোরত্তর বাড়বে। শনিবার, অর্থাৎ ষষ্ঠীর রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়বে। এরপর ২ (রবিবার) থেকে ৫ (বুধবার) অক্টোবর অর্থাৎ, সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। রবিবার খড়গপু্র মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের সাথে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওই দিন বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এই সবদিনই কলকাতাতেও বৃষ্টি হতে পারে।