নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতের ব্যাথা নিয়ে খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ মত হাসপাতালে X-Ray করিয়েছিলেন। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেদিন হাসপাতালের চিকিৎসক না থাকায় গিয়েছিলেন বেসরকারি ক্লিনিকে খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতালেরই এক প্রাক্তন হাড়ের চিকিৎসকের কাছে। X-Ray রিপোর্ট দেখেই তিনি বলেন, হাসপাতালের টেকনিশিয়ানরা উপযুক্ত নন। তাঁরা ভালো করে X-Ray করতে পারেননা।
রোগীকে পরামর্শ দেওয়া হয় বাইরের একটি বেসরকারি সংস্থায় আবার X-Ray করাতে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাইরে খড়গপু্র শহরের তলঝুলিতে অবস্থিত নামী একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে আবারও X-Ray করান তিনি। কিন্তু রিপোর্ট এসেছে একই কিন্তু রিপোর্টে বদলে গেছে হাত। X-Ray করা হয়েছিল বাঁ হাতের আর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ডান হাত বলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা CMOH কে করা অভিযোগে খড়গপুর খরিদা মিলন মন্দির নিবাসী ৩৯ বছর বয়সী শ্যামল ঘোষ জানিয়েছেন, ” খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতালের রিপোর্ট দেখার পর বেসরকারি X-Ray টেকনিশিয়ান বলেছিলেন, হাসপাতালের X-Ray রিপোর্ট ঠিকই আছে তবে যেহেতু ডাক্তারবাবু বলেছেন তাই আবার একটা X-Ray করে দিচ্ছি।
নতুন করে এই এক্স রে করতে আমাকে ৮৫০ টাকা খরচ করতে হয়। অথচ দেখা যায় দুটি X-Ray এক। দুটি X-Ray যে এক সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসক নিজেও। এরপর তিনি ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট আনতে বলেন। সেই রিপোর্ট আনতে গিয়ে আমি দেখি আমার X-Ray হয়েছে বাঁহাতে কিন্তু রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে ডান হাতের!”
শ্যামল ঘোষ আরও বলেন, ” ওই চিকিৎসক স্পষ্টতই আমাকে শুধু ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের নামই বলে দেননি তার সাথে কীভাবে ওই সেন্টারে কীভাবে যেতে হবে তার পথও বাতলে দেন।” জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (ACMOH) খড়গপু্র মারফৎ CMOH কে পাঠানো ওই অভিযোগ পত্রে শ্যামল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলির সংগে কতিপয় চিকিৎসকের এই অশুভ আঁতাত ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হোক।”