নিজস্ব সংবাদদাতা: নয়া কৌশল অবলম্বন করেও পার পেলনা চোরা কারবারীর দল। ওড়িশা থেকে বাংলায় ঢুকে বস্তা বস্তা গাঁজা সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল দুই গাঁজার কারবারী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ৬০নম্বর বালেশ্বর-রানীগঞ্জ জাতীয় সড়কের নারায়নগড় থানার রামপুরার কাছে ধরা পড়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ দু’জন। এরা ওড়িশার বাসিন্দা। ধৃতদের গ্রেফতার করেছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ।
সোমবার এদের পেশ করা হয়েছে মেদিনীপুর আদালতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে রবিবার একটি নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল যে ওড়িশা সীমান্ত পেরিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ বাংলায় ঢুকে পড়েছে একটি গাড়ি। এরপরই জাতীয় সড়কে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ওড়িশা বাংলা সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরে তাদের ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমান সাড়ে ৮৭ কিলোগ্রাম। যার বাজার মূল্য ১২লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ওড়িশা থেকে এই গাঁজা যাচ্ছিল দক্ষিণ ২৪পরগনার বারুইপুরের একটি ঠিকানায়। খুব সম্ভবতঃ স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি গাঁজার একটা অংশ দক্ষিণ ২৪পরগনার জলপথ মারফৎ বাংলাদেশেও পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত ব্যক্তিদের নাম কমল মণ্ডল ও মুকেশ ডিগাল। এই নাম সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এতদিন অবধি কম পরিমান গাঁজা বাইক এবং বেশি পরিমাণ গাঁজা চারচাকা গাড়ির ডিকিতে করেই পাচার করা হয়ে থাকে। আর ওই দুই ক্ষেত্রে পুলিশের কড়া নজর থাকে বলেই এবার পিক আপ ভ্যানে গাঁজা পাচারের কৌশল নিয়েছিল পাচারকারীর দল। মালবোঝাই পিকআপ ভ্যানে পুলিশ তল্লাশি চালাবেনা অনুমান করেই এই পথ নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের আরও অনুমান আন্তঃরাজ্য তল্লাশি এড়াতে পিকআপ ভ্যানটি সীমান্ত সংলগ্ন কোনও গ্রামের ভেতর দিয়ে ওড়িশা থেকে বাংলায় ঢুকেছিল ওই পিকআপ ভ্যান। চারচাকা বা ওই জাতীয় কোনও গাড়ি গ্রামে ঢুকলে সাধারণ মানুষের সন্দেহ হতে পারে অনুমান করেই পিকআপ ব্যবহার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য বাংলায় গাঁজা পাচারের একটা বড় অংশই পশ্চিম মেদিনীপুরের ভেতর দিয়েই হয়ে থাকে।