নিজস্ব সংবাদদাতা: সাধারণত যা হয়, চোর যদিও ধরা পড়ে চুরি যাওয়া দ্রব্য ফেরৎ পায়না গৃহস্থ। যদিও বা পায় তাও ছিঁটেফোঁটা। ফলে পুলিশের বদনাম বাড়ে। অনেকেই দাবি করেন উদ্ধার হওয়া চুরির দ্রব্যে ঝেড়ে দেয় পুলিশ কর্মীরাই।
সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত রাখল খড়গপুর শহর পুলিশ। এক শিক্ষকের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সাত ভরি সোনার গয়নার প্রায় পুরোটাই উদ্ধার করল খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গহনার মূল্য প্রায় ৩লাখ টাকা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে চুরি যাওয়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের ইন্দা সারদাপল্লী এলাকায়।
গত ২৮শে জানুয়ারি ওই সরদাপল্লীর বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক নব কুমার বেরা খড়গপুর টাউন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বেরা বলেন, গত ২৪ তারিখ তিনি সপরিবারে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে খড়গপুর গ্রামীন থানার অন্তর্গত প্রতাপপুরে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়র বাড়িতে। বাড়িতে তালা লাগিয়ে গেছিলেন কারন থাকার মত সদস্য ছিলনা। ২৬ তারিখ বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজায় লাগানো তালা ভাঙা। বাড়ির ভেতরেও আলমারি ইত্যাদি ভেঙে সমস্ত গহনাগাটি নিয়ে গেছে চোর। কি কি গহনা চুরি হয়েছে তার বিবরণও দেন তালিকা করে।
২৮ তারিখ নবকুমার বেরার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিজেদের ইনফর্মারদের কাছ থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী ২৯তারিখ শনিবার পুলিশ খড়গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়া ৪নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর বালুবস্তি থেকে গ্রেফতার করা হয় সেক শাহরুক নামে এক যুবককে। ওইদিনই পুলিশ ৫নম্বর ওয়ার্ডের ভাবনীপুর এলাকার সুভ্যবস্তি থেকে সেক একলাখ ওরফে বড়কা নামে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে দুজনেই দাগী আসামী এবং চুরি ছিনতাই সহ নানা মামলা রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। আদালতে পেশ করার পুলিশ এদের নিজস্ব হেফাজতে নেয়। এরপর দীর্ঘ জেরা করে শারুকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গহনাগুলি।
শাহরুকের অবশ্য দাবি, সে একাই এই চুরি করেছিল। রডের টুকরো দিয়ে তালা ভেঙেছিল নবকুমার বেরার বাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উদ্ধার হওয়া গহনাগুলির মধ্যে রয়েছে একটি সোনার চেইন ও দুটি নেকলেস, ৫টি সোনা বাঁধানো শাঁখা এবং ৩টি সোনা বাঁধানো পলা। রয়েছে চুড়ি, ব্রেসলেট, কানের পাশা ইত্যাদি। সম্প্রতি খড়গপুর শহরে যে সমস্ত চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে এই দুজনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।