নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে কিনা জানা নেই, আসলে কবে আসবে তাও জানা নেই। তবে আসছে ধরে নিয়েই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দেশ তথা রাজ্য জুড়েই। তারই অঙ্গ হিসাবে খড়গপুর শহরেই একটি ১০০শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ে তুলছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এমনটাই জানিয়েছে দৈনিক স্টেটম্যান বাংলা। ওই দৈনিকের তরফে বলা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রথমে ওই ১০০শয্যাকে জেলার পৃথক ৩টি জায়গায় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি দুটি জায়গায় স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় পুরো ১০০ শয্যাকেই আনা হচ্ছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘১০০টি শয্যার জন্য কোটি টাকা ছড়িয়ে এই বাজেট বরাদ্দ হয়েছে রাজ্যের তরফে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার অন্যতম অঙ্গ এটি। তিনটি মহকুমাতেই এই ১০০শয্যা ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু ঘাটাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থান সঙ্কুলান হয়নি। এটা না করতে পারলে বরাদ্দ টাকা ফেরত যেত। এরপরই পুরো ১০০ওয়ার্ড খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালেই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনিতেই ওখানে ৪০শয্যার একটি সেফ হোম রয়েছে। এটি তার অতিরিক্ত।’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের যে সেফ হোম ছিল তা প্রয়োজন হলে আবারও সেফ হোম হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এই ১০০শয্যা রাখা হচ্ছে রিজার্ভ বা আপৎকালীন অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য। পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠলে জেলার যে কোনও প্রান্তের সন্দেহভাজন বা কম উপসর্গ যুক্ত করোনা রুগীকে এখানে সরিয়ে আনা হবে। মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড বিভাজনও করা হতে পারে। অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ ভুবনচন্দ্র হাঁসদা জানান, ‘ কবে তৃতীয় ঢেউ আসবে, আদৌ আসবে কিনা এমনটা এখন বিচার্য নয়। আমাদের লক্ষ্য পরিস্থিতিকে সার্বিক মোকাবিলায় তৈরি থাকা। এই ১০০শয্যা তারই একটি অঙ্গ। সরকারের তরফে আরও অনেক ভাবনা চিন্তা রয়েছে। একে একে সবটাই বাস্তবায়িত হবে।’ খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডঃ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী বলেছেন, ইতিমধ্যেই স্থান চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। কাজও শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে।
এই অতিরিক্ত ১০০শয্যার জন্য আলাদা করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আসবে নাকি প্রয়োজন অনুসারে ডেপুটেশনে অন্য হাসপাতাল থেকে আনা হবে তা আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আপাততঃ মহকুমা হাসপাতালের মানবসম্পদ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, আগে শয্যার কাজ হয়ে যাক পরে ওসব নিয়ে ভাবা যাবে।