Wednesday, May 15, 2024

Nandigram: হাসপাতালের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দ্বিতীয় বারে আত্মহত্যায় সফল যুবক! নন্দীগ্রামের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল যুবক কিন্তু বাড়ির লোকেরা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা শেষ অবধি। জানা গেছে বুধবার গভীর রাতে সেই হাসপাতালের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ওই যুবকের নাম গুরুপদ পাত্র। ৩২ বছর বয়সী গুরুপদ পাত্রের বাড়ি নন্দীগ্রাম থানার পারুবাড়ি গ্রামে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পুলিশ জানিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক পারিবারিক অশান্তির জেরে গত সোমবার কীটনাশক পান করে। তার অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দুপুর দেড়টা নাগাদ নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা পাম্প করে তাঁর পাকস্থলী থেকে কীটনাশকের অবশেষ বের করেন। তারপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠে ওই যুবক যদিও তখনও তাঁর কিছু আনুসঙ্গিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই রাখা হয় তাঁকে। বুধবার মাঝরাতে হাসপাতাল চত্বরে কিছু একটা পড়ার শব্দ পেয়ে হাসপাতাল কর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে গুরুপদ। কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ এবং চিকিৎসকদের অনুমান ঘটনাটি আত্মহত্যা।

জানা গেছে চারতলায় ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছিল গুরুপদর। নিজের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে আসেন তিনি পরে জানলার মধ্যে দিয়ে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুপদ হাসপাতাল চত্বরের যে অংশে পড়েছিলেন তার উপর বরাবর সেই চারতলা ওয়ার্ড যেখানে গুরুপদ ভর্তি ছিলেন। তার থেকেই অনুমান করা হচ্ছে যে তিনি ওই বরাবর ঝাঁপ দিয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমান প্রথমবার আত্মহত্যা থেকে রেহাই পেলেও আত্মহত্যার প্রবনতা মুক্ত হতে পারেননি গুরুপদ তাই কর্মীদের নজর এড়িয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে চারতলা থেকে।
ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতেনই যে গুরুপদর আত্মহত্যার প্রবনতা ছিল তবে কেন তাঁকে কড়া নজরদারিতে রাখা হলনা? স্থানীয় জনতার আরও বক্তব্য নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাংশ কর্মচারী ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেননা। অনেকেই নিয়মমত কাজেও আসেননা আর সেটা জেনেও না জানার ভান করে থাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য এই একই অভিযোগে কিছুদিন আগেই দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার বদল করা হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। মানুষের অভিযোগ তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি,  হাসপাতাল তার আগের অবস্থানেই বহাল রয়েছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news