Saturday, May 11, 2024

Kanyashree Club: নাবালিকা বিয়ে করে দিঘা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দিল কন্যাশ্রী ক্লাব! নবমশ্রেণীর ছাত্রীকে দাসপুর থেকে উদ্ধার করল কেশপুর পুলিশ

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল ১৫ বছরের মেয়েটি। স্কুলের কাছেই দাঁড়িয়েছিল মোটরবাইক। সেই বাইকে করেই তাকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় কোনও অজ্ঞাত স্থানে। পরিকল্পনা ছিল রাতারাতি বিয়ে করে দিঘা বা অন্য কোথাও নিয়ে চলে যাওয়া। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরাই। বিষয়টি নজরে পড়তেই তাঁরা খবর দেন প্রধান শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষক মারফৎ খবর যায় বিডিও এবং পুলিশের কাছে। এরপরই শুরু হয়ে যায় পুলিশের তৎপরতা। অনেক খোঁজ খবর করার পর মধ্যরাত পেরিয়ে পাশের থানা
এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। বুধবার ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানা এলাকার। আদালতের নির্দেশে কন্যটির নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে
নাবালিকার বিয়ে ভেস্তে দেওয়া এই সেই কন্যাশ্রীরা

কেশপুরের বিডিও দীপক কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই আমরা এবং পুলিশ সর্বত্রই নজরদারি চালাচ্ছিলাম। বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করা হচ্ছিল মেয়েটির সন্ধান পাওয়ার জন্য। তারপর অনেক রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই ওই বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের। যদি এই তৎপরতা বজায় রাখা যায় তবে আমরা বাল্যবিবাহ নামক এই সামাজিক ব্যাধিটি দূর করতে পারব।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়া জানিয়েছেন, এই অসম্ভব কাজটিকে যাঁরা সম্ভব করেছেন তাঁদের মধ্যে সবার আগে রয়েছেন আমাদের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা। তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছিল বলেই আমাদের স্কুলের নবমশ্রেণীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে উদ্যোগ নিয়েছে শুভ্রা চৌধুরী,ঋতিসা কারক,অর্পিতা রায়,কুলসুমা খাতুনরা। এরই সাথে কেশপুর বিডিও ও পুলিশ এবং জেলা শিশুসুরক্ষা দপ্তরকেও আমার আন্তরিক অভিনন্দন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই একজন নাবালিকার বিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির যেহেতু বিয়ের বয়স হয়নি তাই তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক্ষেত্রে অপহরণের মামলা দায়ের হতে পারে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে এই কাজে আর কে কে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। আপাতত ওই কন্যা জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তরের অধীনেই আছে। তারাই ঠিক করবে মেয়েটিকে কোথায় রাখা হবে। তবে ছাত্রী বাড়িতে বা হোমে যেখানেই থাকুকনা কেন সে যাতে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে দাসপুর থানার সুপা-পুড়শুরা গ্রাম থেকে।

- Advertisement -
Latest news
Related news