নিজস্ব সংবাদদাতা: শীত আসতে আরও কয়েকটি দিন দেরি আছে হয়ত। মাঝখানে ‘সিত্রাং’ এসে ছন্দ পতন ঘটিয়ে ছিল শেষ হেমন্তের। তারই মধ্যেই শুক্রবার মরসুমের প্রথম শীতের আমেজ পেল খড়গপু্র মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন জঙ্গল মহল। পূজোর পর বৃষ্টি খুব বেশি হয়নি, তাই প্রবল গরম আর অস্বস্তি নিয়ে কাটছিল বেশ কয়েকটা দিন। কিন্তু কালী পুজো পেরুতেই প্রথম আসা উত্তুরে বাতাসে পারদ পড়ল এক লাফে প্রায় ৪ ডিগ্রি। শুক্রবার রাত পেরিয়ে শনিবার সকাল অবধি কাটল শীতের শিরশিরানি অনুভবে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহওয়া উদ্যান সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার খড়গপু্র মেদিনীপুর এবং জঙ্গল মহলের ন্যুনতম তাপমাত্রা ছিল 17.87℃, বৃহস্পতিবার যা ছিল 21.04℃.
ওই দুদিনের নিরীখে দুই শহর এবং জঙ্গল মহলের ঊর্ধতন তাপমাত্রাও কমেছে ২ ডিগ্রীর কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার যেখানে ঊর্ধতন তাপমাত্রা ছিল 32.12℃ শুক্রবার সেখানে তাপমাত্রা নেমে আসে 30.88℃. এই দুদিনের গড় তাপমাত্রাতেও ফারাক হয়েছে ২ ডিগ্রী। বৃহস্পতিবার গড় তাপমাত্রা যেখানে 25.78℃ ছিল শুক্রবার সেটা নেমে 23.30℃ ডিগ্রীতে দাঁড়ায়। সব মিলিয়ে শনিবার বেশ একটা শীতের আমেজ মেখে কাটিয়েছে কাঁসাই পাড়ের দুই শহর।
অন্য দিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড বলছে অক্টোবর মাসের নিরিখে, গত ১০ বছরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে শনিবারই কলকাতার শীতলতম দিন। একদিন পারদ নামল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহান্তে যে বেশ ঠাণ্ডা উপভোগ করা যাবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
যদিও বিষয়টিকে এখুনি শীতের মরসুম বলা যাবেনা।
শীত আসতে এখনও বেশ কিছুটা দেরি আছে , তবে ভতার আগেই এই শীত শীত আমেজ মন ভরিয়ে দিয়েছে দুই শহরের বাসিন্দাদের। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, সকালের দিকে বেশ মনোরম আবহাওয়া থাকবে। কিছু এলাকায় শিশির বা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়লে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব ক্রমশ বাড়বে। দক্ষিণা বাতাসের প্রভাব কমবে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে বাতাস থেকে। শুষ্ক আবহাওয়ায় কার্যত শীতের আগাম বার্তা আসতে শুরু করেছে। বেশ কিছু জেলার ক্ষেত্রে সকালের দিকে হালকা শীতের আমেজ দেখা দেবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আপাতত। শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। তবে এবার যেহেতু বর্ষা দেরিতে বিদায় নিয়েছে তাই শীত জাঁকিয়ে পড়তে পারে।