নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিনে তিন ডিগ্রী পারদ চড়ে যাওয়ায় শীত যেন উধাও হয়ে গেছে খড়গপু্র ও মেদিনীপুর শহর ও জঙ্গলমহল থেকে। উত্তরের যে বাতাস একটু একটু করে ঢুকতে শুরু করেছিল এবং শীতের শিরশিরানি ভাবটা দুই শহরে ছড়িয়ে দিয়েছিল সেই উত্তরে হাওয়া স্তব্ধ হয়ে পাল্টা সামান্য দক্ষিণ হাওয়া বাড়তে থাকতে থাকায় একটা অস্বস্তি বোধ শুরু হয়েছে দুই শহর ও সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকাতেও। বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয়েরর আবহাওয়া উদ্যানের দেওয়া তথ্য জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় তুমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে তাপমান যন্ত্রে। মঙ্গলবার খড়গপু্র মেদিনীপুরের নুন্যতম তাপমাত্রা যেখানে 14.59 ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল বুধবার সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে 17.39 ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রার এই রদবদল তাপমাত্রার সর্বোচ্চ ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা গেছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয় বলছে, মঙ্গলবার খড়গপু্র মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে 28.92 ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল বুধবার সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে 29.29 ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সেই কারনে ডিসেম্বরের শুরুতেই কার্যত
উধাও হয়ে গেছে শীত।
আবহাওয়াবিদদের অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সময়টা সকালে ও সন্ধেয় শীতভাব বজায় থাকবে। তবে বাকি দিনভর উধাও হবে শীতের আমেজ। আগামী ২৪ ঘন্টায় একইরকম থাকবে তাপমাত্রা। তারপর থেকে ধীরে ধীরে নামবে পারদ। ফের ফিরবে শীতের আমেজ। অর্থাৎ শুক্রবার থেকে ফের একটু একটু করে শীত বাড়তে পারে। মঙ্গল ও বুধবার এই এলাকায় আকাশে কিছুটা মেঘের বাতাবরণ থাকলেও বৃহস্পতিবার দিনভর দুই শহরেই পরিষ্কার আকাশের দেখা মিলেছে। ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ টের পেয়েছেন আমজনতা। তবে বেলা বাড়তে না বাড়তেই উধাও হয়েছে শীত ভাব।
ডিসেম্বর মাস বড়দিন আর ক্রিসমাসের মাস। পিকনিক আমেজের মাস। তাই শীত কার্যত উধাও হতে থাকায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। যদিও আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে এখুনি হতাশ হওয়ার মত কিছু নেই কারন দু একদিনের মধ্যেই ফিরে আসছে শীত আর আগামী দু-তিনদিনে একধাক্কায় অন্তত ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কমতে পারে। ফের ফিরবে শীতের আমেজ। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে চলতি মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন দেখতে পারেন। এখনও অবধি চলতি মরশুমে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে ২৭ নভেম্বর। ওইদিন খড়গপু্র মেদিনীপুরের নূন্যতম তাপমাত্রা ছিল 11.9 ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রার এই ওঠানামার সময় শরীরের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি সতর্ক নজর দিতে বলা হয়েছে।