নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ অবধি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেই পড়ল আমরা বামপন্থী খড়গপুর। সোমবার ২টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা, পরে আরও দুটি আসনে তারা প্রার্থী দিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সোমবার খড়গপুর পৌরসভার ৩৩ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন খড়গপুর শহরের বর্ষীয়ান বাম নেতা ও সিপিএমের প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য মনোজ ধর এবং সাংস্কৃতিক কর্মী মৌসুমী রায়।
উল্লেখ্য খড়গপুর শহরের ৩৩ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বামপন্থীরা বিশেষ করে সিপিএম যথেষ্ট শক্তিশালী। এরমধ্যে ৩৩নম্বর ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে। তালবাগিচার একটি অংশ, রবীন্দ্রপল্লী ও দীনেশনগর মিলিয়ে এই ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী স্মৃতিকণা দেবনাথ। তিনি এবার সরে গিয়েছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড তালবাগিচার বাকি অংশ নিয়ে গঠিত যেখানে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা, খড়গপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জহরলাল পাল। তিনি সরে এসেছেন ৩৩নম্বর ওয়ার্ডে। এই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা বামপন্থী নেতা মনোজ ধর লড়াইয়ে নামছেন। এই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন তরুণ তুর্কি মিঠুন দে। মিঠুন আবার রেড ভলান্টিয়ার কর্মী ফলে লড়াই এখানে জমজমাট। ৩৩নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সিপিএমের একটি বড় অংশ নামতে চলেছে তাঁদের পুরানো নেতা ‘মনোজ দা’র হয়ে কারন এই প্রাক্তন সিপিএম সদস্যরা আমরা বামপন্থী খড়গপুরের সদস্য।
৩৫ নম্বরে লড়াই আরও মজাদার হতে চলেছে। এখানে আমরা বামপন্থী যথেষ্ট শক্তিশালী। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন ভগৎ সিং জন্ম শতবার্ষিকী কমিটি এই তালবাগিচা এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। বহু তরুণ ও মহিলা এই সংগঠনের সদস্য। এই সংগঠনটির ৯০% সদস্য আবার আমরা বামপন্থীর পক্ষে রয়েছে। এই সংগঠনেরই সদস্য আমরা বামপন্থীর মৌসুমী রায়। ফলে মৌসুমীকে জি-জান লড়িয়ে দিতে ময়দানে নামছে এক দঙ্গল তরুণ কর্মী ও মহিলা।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একটি ফ্যাক্টর তৃণমূলের চূড়ান্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই এলাকার ঘোষিত তৃণমূল প্রার্থীকে মেনে নিতে নারাজ বেশির ভাগ তৃণমূল কর্মী। তাঁরা পাল্টা প্রার্থী খাড়া করে লড়াই করার হুমকি দিয়ে বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। অফিসিয়াল বনাম আন-অফিসিয়াল তৃণমূলের লড়াইয়ের ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া আমরা বামপন্থী।
আমরা বামপন্থী খড়গপুরের নেতৃত্ব প্রদীপ ধর জানিয়েছেন, ওই দু’টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৩০ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থী তৈরি আমাদের এবং ওই দুটি জায়গাতেই আমাদের শক্তি রয়েছে যথেষ্ট। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যা আইআইটি ক্যাম্পাস ও তার সংলগ্ন এলাকা নিয়ে গঠিত সেখানে আমাদের শক্তি আইআইটির একটি বড় অংশের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা। অন্যদিকে ২৮নম্বর ঝাপেটাপুর এলাকায় আমাদের ভালো সমর্থন রয়েছে। আপাতত এই ৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে যার মধ্যে ২টি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, বাকি ২টি আসনেও মঙ্গল বা বুধবার জমা দেওয়া হবে। এছাড়াও কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।