Thursday, May 2, 2024

Jhargram: আবাস যোজনার টাকা ঝেড়ে ‘এ.সি বসিয়েছেন’ তৃনমূল নেতা! পঞ্চায়েত অফিসেই ডেরা বাঁধলেন ঝাড়গ্রামের দম্পতি

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সীমাহীন বেনিয়ম ও সেই সব ঘটনার বেশির ভাগেরই সঙ্গে শাসক দলের নেতা কর্মীদের যোগাযোগ আসার পর থেকেই তোলপাড় বাংলা। চলছে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ। তারই মধ্যে এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী রইল জঙ্গল মহলের ঝাড়গ্রাম জেলা। বিপিএল তালিকাভুক্ত একটি পরিবারের বরাদ্দ আবাস যোজনার টাকা ঝেড়ে দিয়ে নিজের ঘরে এয়ার কন্ডিশন মেশিন বসিয়েছেন এক তৃনমূল নেতা এমনই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেই হাঁড়ি কড়াই নিয়ে সংসার পাতলেন ওই পরিবার। নজির বিহীন এই  অভিনব প্রতিবাদের কান্ড ঘটল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী থানা এলাকায়। মঙ্গলবার বেলার দিকে হঠাৎই বেলপাহাড়ীর শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে হাঁড়ি কড়াই, হাতাখুন্তি আর বঁটি নিয়ে হাজির হন এক দম্পতি। তাঁদের দাবি, তাঁদের জন্য বরাদ্দ আবাস যোজনার টাকা ঝেড়ে দিয়ে সেই টাকায় নিজের ঘরে এয়ার কন্ডিশন মেশিন বসিয়েছেন এক তৃনমূল নেতা আর সেই কারনে তাঁরা বাড়ি বানাতে পারছেননা। তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসেই থাকবেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

 এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিক, কর্মীদের অবাক করে দিয়ে রীতিমত সবজি তরকারি কেটে কুটে গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে রান্না চাপিয়ে দেন ওই দম্পতি। তারপর সেখানেই আসন পেতে সপরিবারে দুপুরের খাবারও খানও তাঁরা। গোটা ঘটনায় হতবাক হয়ে যান অফিসের আধিকারিক ও কর্মীরা। বিপিএল তালিকাভুক্ত ওই পরিবারের কর্তা মণিকাঞ্চন দত্ত অভিযোগ করেন, ২০১৭-২০১৮ সালের আবাস যোজনার যে তালিকায় দেখা যায় যে তাঁর নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। অথচ কাজের সময় দেখা যায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। মনিকাঞ্চনের অভিযোগ, তিনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারেন, যে তাঁর পরিবর্তে তাঁরই গ্রামে পাকা বাড়ি হচ্ছে তৃনমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি পঞ্চানন দত্তের অথচ তাঁর নাম আবাস যোজনার তালিকায় নেই। মনিকাঞ্চন দত্তের অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আধিকারিকের সঙ্গে কারসাজি করেই তাঁর পরিবর্তে ওই প্রাক্তন বুথ সভাপতি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে নিয়েছেন।

মনিশঙ্কর জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই তৃনমূল কংগ্রেস নেতা ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বুথ সভাপতি  টাকা ফিরিয়ে দেবেন মণিকাঞ্চনকে। সেই টাকায় বাড়ি করবেন তিনি। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই মণিকাঞ্চন পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করা শুরুও করে দেন। কিন্তু কিছু টাকা দেওয়ার পরই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন ওই তৃণমূল নেতা। বিষয়টি নিয়ে ফের পঞ্চায়েত প্রধানের শিপ্রা বেজের কাছে গেলে প্রধান আর গ্রাহ্যই করছেননা। মনিশঙ্কর বলেন, ” ঘর বাড়ি ভেঙে এই শীতে বিপদে পড়ে গেছি আমি। আমার আর কোনও বিকল্প নেই। আমাকে পঞ্চায়েত অফিসেই থাকতে হবে।”

- Advertisement -
Latest news
Related news