Wednesday, May 15, 2024

Contai Blast NAI: কাঁথি বিস্ফোরন ঘটনায় নয়া মোড়! শুভেন্দুর এনআইএ তদন্তের দাবি, নিহত তৃনমূল সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ স্ত্রীর

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে জনসভা শুরুর ১২ঘন্টা আগেই বিস্ফোরনে মৃত্যু হয় তৃনমূলের এক বুথ সভাপতি, তাঁর শ্যালক সহ ৩ জনের। সভাস্থল থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে হওয়া সেই বিকট বিস্ফোরনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই তৃনমূল নেতার বাড়ির একটা বড় অংশই। সেই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা বা NIA এর হস্তক্ষেপ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আর তারই মধ্যে ওই নিহত তৃনমূল নেতার স্ত্রী ওই বিস্ফোরনের জন্য নিজের মৃত স্বামীর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি কে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কারন ওই অভিযোগে তৃনমূল নেতার স্ত্রী বিস্ফোরনের কারন হিসাবে তাঁর বাড়িতে ‘নিষিদ্ধ বাজি’ তৈরি চলছিল বলে দাবি করেছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি খুব কায়দা করে ওই অভিযোগে ‘ নিষিদ্ধ বাজি’ কথাটা উল্লেখ করা হয়েছে যাতে আসলে যে ওই বাড়িতে মারন বোমা তৈরি হত সেটা আড়াল করা যায়।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

উল্লেখ্য ভগবানপুর-২ ব্লকের অর্জুননগর অঞ্চলের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের নিহত ওই বাড়ি মালিক তৃনমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার স্ত্রী লতারানি মান্না
রবিবার ভূপতিনগর থানায়। তার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে বলেছেন, ‘ আমার বারংবার বারণ সত্ত্বেও বাড়িতে বসে বাজি তৈরি করতেন উনি। ওই দিন ৫ জন বসে বাজি তৈরি করছিল। আমি এবং শাশুড়ি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। মনে হয় বাজি তৈরির সময় অসাবধানবশত কোনওভাবে আগুন লেগে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ উল্লেখ্য এই ঘটনায় তৃণমূলের সভাপতি রাজকুমার মান্না তাঁর ভাই ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে বুদ্ধদেব মান্না ও প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ গায়েনের। আহত হন আরও ২ জন। ইটের দেওয়াল দেওয়া ও টিনের ছাউনি পাতা গোটা দোতলা বাড়িটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উড়ে যায় টিনের চাল। রাজকুমার সহ তিন জনের দেহ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দূরে পাওয়া যায়। মনে করা দেহ গুলি ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল।

শুক্রবার রাত থেকেই ওই জায়গাটির দখল নেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ও ফরেনসিক দল। পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগে নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কথা বলা হয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি মৃত। সুতরাং গ্রেফতার হওয়ার মত কেউ নেই। পুলিশ ও ফরেনসিক দল তদন্ত করছে। যদিও বিজেপির বক্তব্য আসল ঘটনাটিকে আড়াল করার জন্যই নিষিদ্ধ বাজির তত্ত্ব হাজির করা হচ্ছে। আসলে ওখানে বোমা তৈরি হচ্ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত তৃনমূল রাজ্যের সর্বত্রই বোমা বন্দুকের শিল্প গড়ে তুলছে। বহু জায়গাতেই শাসক দলের প্রশ্রয়ে এই ঘটনা ঘটছে। বেশ কয়েকটি জয়াগায় বিস্ফোরন হয়েছে। কাঁথির ঘটনাও তাই। শুধু বাজির মশলা থেকে এত বড় বিস্ফোরন হতে পারেনা।

শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই কাঁথি বিস্ফোরনের ঘটনা ছাড়াও আরও ৭ টি বিস্ফোরন মামলায় যাতে NIA তদন্ত করে সেই আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ কে লেখা চার পাতার চিঠিতে বলেছেন। “ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মরিয়া হয়ে তদন্তের প্রক্রিয়ার অভিমুখ বদলে দিতে চাইছে এবং সর্বোত ভাবে চেষ্টা করছে তৃনমূল নেতা কর্মীদের আড়াল করার জন্য। এই পরিস্থিতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA র উচিৎ  এই ঘটনা গুলির সঠিক, নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করা।
যদিও বিষয়টিকে তৃনমূলকে হেনস্থা করার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করে তৃনমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, ” ত্রিপুরাতে যে হিংসা, রক্তপাত, বিস্ফোরন হচ্ছে কই সেখানে তো NIA ছুটছে না?”

- Advertisement -
Latest news
Related news