Thursday, May 16, 2024

Primary Teachers: মন্ত্রীর মেয়ের পর এবার প্রাথমিকে একই সাথে কি চাকরি গেল তৃনমূল সভাপতির ২ মেয়ের? কার কোথায় চাকরি গেল জানতে ঘুম ছুটেছে একাংশ নেতাদের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এসএসসিতে কিছুদিন আগেই চাকরি গেছিল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এবার প্রাথমিককে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছেন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তার মধ্যে এক তৃনমূল নেতার ২কন্যা রয়েছে বলে জানতে পারা গেছে। যদিও পূর্ন তালিকা সমস্ত জায়গায় পাওয়া যায়নি তবে এই পর্বে বেশ কয়েকজন তৃনমূল নেতার পরিবার সদস্য এমন কী পদাধিকারীরও চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই প্রাথমিক সূত্রে খবর। চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের একটি তালিকা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভাইরাল তালিকা অনুযায়ী, আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনধর খাঁড়ার দুই মেয়েও চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

ভাইরাল হওয়া এই তালিকা যাচাই করা সম্ভব হয়নি KGP বাংলার পক্ষে। সরকারি সূত্রেও এই খবর এখনও অবধি নিশ্চিত করা হয়নি। আরামবাগ শিক্ষা দফতরের এসআই কাবেরী সাফুই বলেন, “এই বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা আমার হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই তাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন কিনা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, গুনধর খাঁড়ার দুই মেয়ে শিবানী খাঁড়া ও সীমা খাঁড়ার নাম বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের তালিকায় রয়েছে। শুধু নিজের দুই মেয়ে নয়, এলাকার একাধিকজনকে নিয়ম না মেনেই চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। এরপরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এই বিষয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “গুনধর খাঁড়ার চার মেয়েই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে শিবানী খাঁড়া সালেরপুর সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং সীমা খাঁড়া তারকেশ্বর দশঘরার কোটালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। ২০১৭ সালে তৃণমূল নেতার এই দুই মেয়ে চাকরি পেয়েছিলেন এবং হাইকোর্টের রায়ের পর তাঁদের চাকরি গিয়েছে।” শিবানী খাঁড়ার শ্বশুর বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হলে তাঁর এক আত্মীয়া জানান, তিনি বাড়িতে নেই। এই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।

গুনধর খাঁড়া সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদের কাছে ওদের চাকরি যাওয়া নিয়ে কোনও তথ্য নেই। সকলেরই বাক স্বাধীনতা রয়েছে। শিবানী বা সীমার চাকরি নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।” জানা গেছে প্রথম দফায় নিয়োগ করার পর পরের দফায় ২৬৯ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। আদালতে পর্ষদ জানিয়েছিল ১নম্বরের একটি প্রশ্ন ভুল থাকায় ওই ২৬৯ জনকে ১নম্বর করে দেওয়ায় ওরা উর্ত্তীণ হয়েছিলেন। আদালতের পাল্টা যুক্তি ছিল সেই ১নম্বর তো তাহলে সবাইকেই দিতে হয়। তা না দিয়ে শুধুমাত্র ওই ২৬৯ কেই নম্বর দেওয়া হল কেন? এরপরই ওই ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়। সোমবারের রায়ে বলে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার থেকেই স্কুলে ঢোকা নিষিদ্ধ ওঁদের। পাশাপাশি ফেরৎ দিতে হবে যত বেতন তুলেছেন তার পুরোটাই।

- Advertisement -
Latest news
Related news