নিজস্ব সংবাদদাতা: গরু চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক প্রহার করায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম থানার কামারবাঁধি গ্রামে।গনপিটুনির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে। তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ আগে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। আর তার থেকেই অনুমান করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি পাশাপাশি এলাকার নয়।
ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে লোধাশুলি যাওয়ার রাস্তায় শালবনী লাগোয়া। জানা গেছে বুধবার রাত ৩ টা নাগাদ কামারবাঁধি গ্রামের জনৈক কৃষক কৃষ্ণ মাহাতোর বাড়ি লাগোয়া গোয়ালে গরুদের ছটপটানির আওয়াজ পায় পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি গরুদের আওয়াজ পেয়েই তারা চুপিসারে গোয়ালের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে গোয়ালে কেউ একজন রয়েছে। এরপরই কৃষ্ণ নিজের মোবাইল ফোন থেকে বিষয়টি জানায় প্রতিবেশীদের। মুহূর্তের মধ্যে ফোনে ফোনে খবর ছড়িয়ে পড়ায় সবাই কৃষ্ণ মাহাতোর বাড়ির দিকে আসতে শুরু করে। লোকজনের আওয়াজ পেয়ে গোয়াল থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে।
গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, মানুষজনের আওয়াজ পেয়েই ওই ব্যক্তি কুলকুলি (মুখ দিয়ে বের করা একধরনের শব্দ ) দিয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করে। সেই কুলকুলি শুনতে পেয়েই তাঁর সঙ্গীরা দুরে দাঁড় করানো তাদেরই নিয়ে আসা একটি পিক ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় কিন্তু অন্ধকার আর গ্রামের অচেনা রাস্তায় পালাতে না পেরে ধরা পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। তাকে বেঁধে ফেলে চলে মারধর। মারধরের ঘটনা প্রায় সাড়ে ৩টা নাগাদ শুরু হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার মারফৎ ঝাড়গ্রাম থানায় খবর পৌঁছায় ভোর ৫টা নাগাদ। জঙ্গল এলাকা এবং অতীতের মাওবাদী অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ সমস্ত কিছু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সকাল ৭টা বেজে যায়।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয় ওই বছর পঞ্চাশ লাগোয়া ব্যক্তির। কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু হয় তার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামে গ্রামে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। মাঠঘাট এমন কি গোয়াল থেকেও গরু নিয়ে পালাচ্ছে চোরেরা। এই ব্যক্তিও গরু চুরি চক্রের লোক। আরও অন্ততঃ ৪জন একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করছিল চুরি করা গরু বহন করার জন্য। পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে বাড়ির মালিক কৃষ্ণকান্ত সহ ২জনকে আটক করেছে। মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, প্রজাবাড় (ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর) যত দূর চোখ যায়, সবজি…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল- ২০৮ চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী দামোদরজীউ মন্দির, হাসিমপুর (কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর জেলার…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শিব মন্দির, মিত্রসেনপুর (চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর)বহুকালের প্রাচীন নগরী চন্দ্রকোণা। ভানবংশ,…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশলক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, শ্রীরামপুর (সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর) জমিদারী গড়েছিলেন বটে, বৈষয়িক ছিলেন…
জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী রসিকনাগর জীউ মন্দির, জয়ন্তীপুর (চন্দ্রকোণা শহর) মন্দির নগরী চন্দ্রকোণা। এর…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল— ২০৪ চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, মার্কণ্ডপুর (পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর) রূপনারায়ণ নদ—মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশের…