Wednesday, May 8, 2024

Gujrat bridge collapse: লাশ বেড়ে ১৪১! ভোটের মুখে সময়ের আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতু, মোদীর গুজরাট মডেল তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে

The bridge that collapsed in Gujarat's Morbi yesterday, killing more than 140 people, was opened to the public ahead of schedule by the private company hired for its maintenance, documents reveal. According to the contract between the Morbi municipal body and Ajanta Manufacturing Private Limited, accessed by NDTV, the bridge had to be shut for at least eight to 12 months for maintenance and repairs. But the historic colonial-era bridge was thrown open to the public within seven months, on October 26, when the Gujarati New Year is celebrated. The company did not take a fitness certificate from the civic authorities, which Morbi municipal agency chief Sandipsinh Zala confirmed.

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: কাটমানি নিয়ে বাংলার পর এবার খিল্লির মুখে নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট মডেল। মাত্র ৪ দিন আগে গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষ্যে খুলে দেওয়া মাচ্ছু নদীর ওপর চালু করা হয়েছিল মোরবি সেতু। ছট পূজোয় মেতে থাকা উৎসব মুখর রবিবার সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে সেই সেতু। সোমবার দুপুর ১২ টা অবধি উদ্ধার হয়েছে ১৪১ জনের লাশ। প্রশ্ন উঠেছে কী দেখার পর জনতার উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়েছিল গত সাত মাস ধরে সংস্কার হওয়া ওই সেতু?  কী করছিলেন গুজরাটের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা? এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গুজরাটের মোরবি পৌরসভা ওই সেতুর সংস্কারের ঠিকা তুলে দিয়েছিল অজন্তা ম্যানুফ্যাকচরিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে। কথা ছিল ৮ থেকে ১২ মাস ধরে চলবে ওই সংস্কারের কাজ। কিন্তু ৭ মাস কাজ চলার পরই ওই ১৪০ বছরের পুরনো সেতু জনগনের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হল কেন? প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী ভোটের মুখে তড়িঘড়ি খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি?

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

উল্লেখ্য আর দু মাস পরেই হিমাচল প্রদেশের সাথে গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচন। ঘটনাচক্রে সেই ভোটকে সামনে রেখেই ওই সেতু ভেঙে পড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের ভাদেদোরায় একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটের মুখে বাহবা কুড়ানোর জন্যই ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর ক’দিন দেরি হলে নির্বাচনী বিধি নিষেধে সেতু খোলা যেতনা। ফলে কোনও ক্রমে কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই সেতু খুলে দেওয়া হয় এবং গুজরাটি আবেগকে কাজে লাগাতে বেছে নেওয়া হয় গুজরাটি নববর্ষের দিনটিকেই। মোরবি পৌরসভার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সন্দীপসিন জালা একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই সেতু সম্পর্কে কোনও ফিট সার্টিফিকেট প্রদান করেনি পূর্ত বিভাগ। যদি তাই হয় তবে কার নির্দেশে কারা ওই সেতু খুলে দিল আর চারদিন ধরে সেই সেতু চলল কী ভাবে?

স্থানীয় বিধায়ক ললিত ঘটনার সময়ই ক্ষোভ ব্যাক্ত করে জানিয়েছিলেন নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে সংস্কারের কাজে। সেতু যেভাবে ভেঙে পড়েছে তাতে সেই অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে সেতু ঠিকাদার সংস্কার করলেও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা তা কী খতিয়ে দেখেছিলেন না? নাকি এখানেও সেই কাটমানির গল্প? রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগভি বলেছেন, একটি অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের কাউকে ছাড়া হবেনা। ইতিমধ্যে ৫ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার কার্যে ছিলেন ভারতীয় সেনা জাওয়ানরা।

গুজরাটের তথ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯ জন। এখনও সেনা, নৌসেনা, বিমানবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।’ গতকাল সন্ধে সাড়ে ৬ টা নাগাদ মাচ্ছু নদীর উপর এই ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে পড়ে। সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ শুরু হয় উদ্ধারকাজ। গত এক দশকে এত বড় বিপর্যয় দেখেনি গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগের ও পরের মুহূর্তের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অনেকেই। ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন দেশবাসী। প্রাণ বাঁচানোর জন্য জলের মধ্যে ডুবু ডুবু অবস্থায় ব্রিজের পাটাতন, কেবল ধরেই খাবি খাচ্ছিলেন মানুষেরা। নিজেকে বাঁচানোর শেষ একটা চেষ্টা!

- Advertisement -
Latest news
Related news