নিজস্ব সংবাদদাতা: বাস চালাতে চালাতেই ঘুমে ঢুলে পড়েছিলেন চালক পরিণতিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল বাসের চালক খালাসী সহ ৩ জনের। মৃতদের মধ্যে ১ পুণ্যার্থীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন যাত্রী। নিহত ও আহতরা পূর্ব মেদিনীপুরের বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার বিকালে বাজকুল থেকে ৭০ জন পুণ্যার্থী নিয়ে গয়ার পথে রওনা দিয়েছিল ওই বাসটি যার ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার কাঁকড়াবাড়ি গ্রামের ঝাড়েশ্বর সামন্ত।
সোমবার ভোরের দিকে ঝাড়খণ্ড-বিহার সীমান্ত লাগোয়া বরকাটা থানা এলাকায় হাজারিবাগের কাছে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে একটি ট্রাকের।দুর্ঘটনায় বাসের চালক, খালাসি ও এক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।এছাড়া আহত হয়েছেন বাসের ৬০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৩ জনকে। মৃত ৩ জনের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি ভূপতিনগর থানার বৃন্দবনপুর গ্রামের বাসিন্দা গুরুপদ মণ্ডল (৬০)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ভৈরবী মণ্ডল।
ওই বাসে থাকা এক পুণ্যার্থী অজিত কুমার বাগ জানিয়েছেন, বাসের চালক বাস চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার সকাল বেলাতেই দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছানোর পরই তৎপর হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর পেয়ে জেলা প্রশাসন। জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি জেলা প্রশাসন ও দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটির যাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেন। কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, সোমবার ভোরে হাজারিবাগ এলাকায় তীর্থযাত্রীদের বাস ও লরির মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর ওই এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিন সন্ধ্যা অবধি চালক ও খালাসীর নাম জানা যায়নি তবে তাঁরা তমলুক এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। আহত ২০ জনের মধ্যে ৬ জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে। কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, আহতদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাকি পুণ্যার্থীদেরও ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।