Friday, December 8, 2023

Russia Ukraine conflict: ছেলে আটকে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে! ঘুম নেই চন্দ্রকোনার

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাত্র ১বছর বাকি ছিল ডাক্তারি পড়া শেষ করে পাকাপাকি ভাবে ঘরে ফেরার কিন্তু তার আগেই লন্ডভন্ড হতে চলেছে স্বপ্ন। এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেই বেঁচে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার আলি পরিবার। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে পড়েছে আলি পরিবারের ছোট ছেলে ২৪ বছরের ইয়াসিন। পরিবার ঘুরছে প্রশাসনের দরবারে, যেকোনোও ভাবেই হোক ফিরিয়ে আনা হোক তাঁদের সন্তানকে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিভের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির পঞ্চম বর্ষের পড়ুয়া ইয়াসিন তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধের প্রথম কয়েকটা দিন যেমন তেমন করে কেটে গেলেও ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। দিনের বেলায় হোস্টেলে কাটলেও রাতেই ছুটতে হচ্ছে বাঙ্কারে। যেমন করে পারো আমাকে উদ্ধার করার কথা বল প্রশাসনকে। আমি দেশে ফিরতে চাই।

চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের হাটপুকুর গ্রামের সেখ ইয়াসিনের বাবা সেখ মানোয়ার আলি পেশায় ধনী কৃষক। মা জরিনা বেগম গৃহবধূ।এদের দুই ছেলে বড় ছেলে সেখ মহসিন আলি আর ছোট ছেলে সেখ ইয়াসমিন।স্থানীয় স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ইয়াসিন। মনোয়ার ছেলের সেই ইচ্ছাপূরণ করতেই পাঁচ বছর আগে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিল পরিবার। রাজধানী কিভের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ মেলে ডাক্তারি পড়ার। ৬ বছরের সেই মেডিক্যাল কোর্স শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরই। তার আগেই ঘটে গেল এমন ঘটনা।

ইয়াসিনের বাবা মনোয়ার বলছেন, প্রথম কয়েকদিন যুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যেও কিছুটা সামলে নিয়েছিল নিজেকে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কান্নাকাটি করছে সে। রাত হলেই বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার। কিছু শুকনো খাবারেই কাটাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। নেই পর্যাপ্ত পানীয়জলও।’ ছেলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাবা-মা ও পরিবারের।ইয়াসিনের বাবা ছেলেকে ফিরে পেতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে।এক বছর আগেই বাড়িতে এসেছিল ইয়াসিন,৬ বছরের কোর্স সম্পন্ন করে বাড়ি ফেরার কথা।এক-আধবার ছেলের সাথে কথা হয়,গতকাল রাত বারোটায় শেষ কথা হয় পরিবারের সাথে ইয়াসিনের হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে।তারপর থেকে আর ছেলের সাথে কথা হয়ে উঠছেনা পরিবারের এতেই চরম উৎকন্ঠায় ইয়াসিনের বাবা-মা

ইয়াসিনের মামা মাতাবুদ্দিন থান্দার বলেন, ‘ আর ওখানে থাকতেই চাইছেনা ইয়াসিন। বলছে ডিগ্রী মাথায় থাক এখন প্রাণ নিয়ে যাতে ফিরতে পারি সেই ব্যবস্থা কর। আমরাও চাইছি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। আগে প্রাণ, পরে ডিগ্রী। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি ছেলেকে ফেরানোর উদ্যোগ নিন।” এদিকে ছেলের চিন্তায় নাওয়া খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন ইয়াসিনের মা জারিনা বেগম। ক্রমাগত কান্নাকাটি করেই যাচ্ছেন। তাঁকে নিয়েও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে পরিবার।

- Advertisement -
Latest news
Related news