নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিযোগ মহারাষ্ট্রের কায়দায় বিহার দখলের চেষ্টায় ছিল বিজেপি। জেডিইউ-র মধ্যে ফাটল ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নীতিশ কুমারকে সরিয়ে বিজেপির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু আগেভাগেই পাশ উল্টে দিলেন নীতিশ কুমার আর তার ফলে মহারাষ্ট্র দখলের হাসি মুছে গেল কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল নীতিশ কুমার নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে তিনি যে ফের লালুপ্রসাদের আরজেডি জোটে ফিরছেন তা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবারই তিনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন এবং রাজভবন থেকে বেরিয়ে জানান, ‘হ্যাঁ, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিয়েছি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এনডিএ তথা বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দেওয়া পুরোপুরি দলের (জেডিইউয়ের) সিদ্ধান্ত।’ পাশাপাশি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বুধবারই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য তাঁর পক্ষে থাকা ১৬০ জনের সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত সমর্থনপত্রও তিনি রাজ্যপালকে দিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল আরজেডি। এককভাবে ৭৫ টি আসন পেয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। সবমিলিয়ে ১১০ টি আসনে জিতেছিল আরজেডির নেতৃত্বাধীন জোট। বিজেপি জিতেছিল ৭৭ টি আসনে। জেডিইউ মাত্র ৪৫ টি আসনে জিততে পেরেছিল। তবে সার্বিকভাবে ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছিল এনডিএ জোট। ১২৫ টি আসনে জিতেছিল। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মতো জেডিইউকে দুটি ভাগে ভেঙে দিতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে এমনিই মাত্র ৪৫ জন বিধায়ক নিয়ে দুর্বল জেডিইউ পুরোপুরি কোমায় চলে যেত। সেই পরিস্থিতিতে আজ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে নীতিশের জেডিইউ। নীতিশের দলকে সমর্থন জানিয়েছে এনডিএয়ের জোটে থাকা হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চাও। যে দলের হাতে চার বিধায়ক আছেন।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একটি আসন বর্তমানে খালি রয়েছে। গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। মঙ্গলের বারবেলার হিসাব বলছে, বিজেপি বিরোধী শিবিরে রয়েছে অন্তত ১৬৪ জন। এঁদের মধ্যে নীতীশ ১৬৩ জনের সমর্থন পেতে পারেন। অর্থাৎ গত দু’বছর সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালানো নীতীশ এ বার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেন।
আরজেডির ৭৯, জেডি(ইউ)-র ৪৫, কংগ্রেসের ১৯ এবং ১৬ জন বাম বিধায়কের পাশাপাশি হাম-এর চার জনও রয়েছেন নীতীশের পাশে। এমনকি একমাত্র নির্দল বিধায়ক, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ সুমিত সিংহের সঙ্গেও তাদের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে বলে নীতীশের দল জেডি(ইউ)-র দাবি। অন্য দিকে, রাতারাতি বিরোধী দলে পরিণত বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে লালু প্রসাদ পুত্র তেজস্বী যাদবকে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন নীতিশ কুমার।
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, প্রজাবাড় (ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর) যত দূর চোখ যায়, সবজি…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল- ২০৮ চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী দামোদরজীউ মন্দির, হাসিমপুর (কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর জেলার…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শিব মন্দির, মিত্রসেনপুর (চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর)বহুকালের প্রাচীন নগরী চন্দ্রকোণা। ভানবংশ,…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশলক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, শ্রীরামপুর (সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর) জমিদারী গড়েছিলেন বটে, বৈষয়িক ছিলেন…
জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী রসিকনাগর জীউ মন্দির, জয়ন্তীপুর (চন্দ্রকোণা শহর) মন্দির নগরী চন্দ্রকোণা। এর…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল— ২০৪ চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, মার্কণ্ডপুর (পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর) রূপনারায়ণ নদ—মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশের…