নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৬ দিনে আইআইটি খড়গপুরে (IIT Khargapur) আক্রান্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪০ ছুঁয়ে গেল। আর তারমধ্যেই হোস্টেল ছাড়তে শুরু করলেন পড়ুয়ারা। তিন দিন আগেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল আইআইটি খড়গপুর ( IIT Kharagpur) কর্তৃপক্ষর পক্ষ থেকে। বলা হয়েছিল পড়ুয়ারা চাইলে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিনের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি নিয়েই গত কয়েকদিন ধরেই কয়েকশ পড়ুয়া হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। আইআইটি খড়গপুরের তরফে সরাসরি ক্লাশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই বাতিল করা হয়েছিল। ফের অনলাইনেই ক্লাশ শুরু করা হয়েছে।
আইআইটি খড়গপুর সূত্রে জানা গেছে আক্রান্তদের সবাইকেই স্যার আশুতোষ মুখার্জী হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেখানে এবার স্থানাভাব দেখা দেওয়ার মুখে। যেভাবে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে অন্য কোনও বিকল্প জায়গার কথা ভাবতে হচ্ছে। আপাততঃ কোনও অতিথি নিবাসে আরও একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে আক্রান্তরা প্রায় সব্বাই উপসর্গহীন বলেই জানা গেছে। অনেকেরই জ্বর বা কাশির মত কোনও উপসর্গই নেই। একেবারেই সুস্থ রয়েছেন তাঁরা। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়া ছাড়া আর তেমন কোনও দুশ্চিন্তার কারন নেই।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হোস্টেলের মধ্যে থাকা পড়ুয়াদের যথোপযুক্ত কারন ছাড়া হোস্টেলের বাইরে বেরুতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে করিডর, ডাইনিং হল, কমনরুম কোথাও ভীড় করা চলবেনা। কোনও কোনোও হোস্টেলে পড়ুয়াদের রুমেই প্যাকেটে করে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও আবার পড়ুয়াদের ডিনার ও লঞ্চের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে যাতে ডাইনিংহলের ভীড় না হয়। স্যার আশুতোষ মুখার্জী হোস্টেলে যে ১৪০জন পড়ুয়া কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাঁদের নিজ নিজ হোস্টেল থেকে প্যাকেটে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। কমবেশি ২০টি হোস্টেল থেকেই আক্রান্ত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য সরাসরি ক্লাশ করানোর উদ্দেশ্য নিয়েই একটি বড় অংশের পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে আহবান করেছিলেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ যার ফলে গত ২৬শে ডিসেম্বর থেকে ৩০শে ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে তিনহাজার পড়ুয়া হোস্টেল ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই দুটি করে করোনার টিকা ( Corona Vaccine) এবং আরটিপিসিআর (RT/PCR) নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়েই হোস্টেলে থাকার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। এরপর ৩১শে ডিসেম্বর থেকে নিরন্তর নমুনা সংগ্ৰহ করতে শুরু করা হয়। সেই পরীক্ষায় ধাপে ধাপে এখনও অবধি ১৪০জন পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানা গেছে।