নিজস্ব সংবদাদাতা: এক ভয়াবহ পৈশাচিক বর্বরতার স্বাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানা এলাকা। একটি বাড়ির ছিটে বেড়ার দেওয়াল ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার পর তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ওই গৃহবধূর প্রায় নগ্ন মৃতদেহ দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে এগরা ২ নম্বর ব্লকের দুবদা অঞ্চলের শাখাপাদা গ্রামের ২৭৩ নম্বর বুথ এলাকায়। ওই গ্রামেই একটি বসবাস করতেন বছর সাঁইত্রিশের ওই গৃহবধূ। গৃহবধূ একাই থাকতেন। তাঁর স্বামী বহুদিন ধরেই নিখোঁজ। একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে মুম্বাইতে থাকেন।
গৃহবধূ দিনমজুরি করেই দিনাতিপাত করতেন। বুধবার সকালে ওই গৃহবধূকে নিয়ে একসাথে মজুরির কাজে যাওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গিনীরা তাঁকে ডাকতে আসেন। বাড়ির বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা ভেতরে ঢুকে দেখতে পান মহিলা নিস্পন্দ হয়ে পড়ে রয়েছেন।
ওই মহিলারা গ্রামবাসীদের জানান, শরীরের পোশাক এলোমেলো, অসংবৃত। সাথে সাথেই তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের মারফৎ খবর যায় এগরা পুলিশের কাছে। এই দৃশ্য দেখার পর প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতা কে শান্ত করে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
অন্যদিকে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, মহিলা একা থাকতেন সেই সুযোগ নিয়েই এলাকার মদ্যপরা এই ঘটনার ঘটিয়ে থাকতে পারে। তাঁরা আরও বলেছেন, বাড়ির অন্যান্য কোনও কিছুই খোয়া যায়নি বলেই তাঁদের মনে হয়েছে। বাড়ির মধ্যে থাকা একটি বড় ট্রাঙ্ক অটুট রয়েছে। সেটি ভাঙার কোনও চেষ্টাও করা হয়নি। ফলে লুটের উদ্দেশ্যে নয়, ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়েই দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলেই গ্রামবাসীদের অনুমান। তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন এলাকা জুড়ে মদ্যপদের উৎপাত বেড়েছে। মনে করা হচ্ছে তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন যেভাবে ছিটেবেড়ার অংশভেঙে দুষ্কৃতিরা ঘরে ঢুকে এই কাজ করেছে তা রীতিমত আতঙ্কের। গরিব মানুষ এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।