Saturday, July 27, 2024

BJP Lost Chandigarh: কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর উত্তর ভারতের প্রথম নির্বাচনেই জোরালো ধাক্কা বিজেপির! চন্ডীগড় পৌর নির্বাচনে ধ্বস

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক মাসও হয়নি, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু কৃষকদের ক্ষোভের ক্ষত যে তাতে নিরাময় হয়নি তার প্রমান মিলল হাতে নাতে। চন্ডীগড় পৌর নির্বাচনে (Chandigarh civic polls) কার্যত ধরাশায়ী হল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP). অথচ ২০১৬ সাল থেকে দুইতৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এই পুরসভার চালিয়ে আসছিল গেরুয়া শিবির। এবারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৫টি আসনের ১৪টিতে জয়ী হয়ে বড় পার্টি হিসাবে উঠে এসেছে আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন আর বিজেপিকে ১২আসনেই থেমে যেতে হয়েছে। শিরোমনি আকালি দল ১টি আসন পেয়েছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর উত্তর ভারতে এটাই প্রথম নির্বাচন যেখানে রীতিমত ধরাশায়ী হতে হল বিজেপিকে। আর এখানেই বিজেপির আশঙ্কা যে আর মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের ক্ষোভ কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। আম আদমি পার্টির চন্ডীগড় আহবায়ক প্রেম গর্গ বিজেপির এই পরাজয়কে কৃষি আইন প্রণয়নের মারাত্মক ভুল এবং মুদ্রাস্ফীতি রোখার ব্যর্থতা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। গর্গ বলেছেন, ‘ ভারতে প্রথম তৈরি হওয়া পরিকল্পিত নগর চন্ডীগড় বিজেপির পাঁচ বছরের শাসনে নাগরিকদের কাছে দুর্বিষহ যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঘুম ভেঙে ওঠা আর ফের ঘুমোতে যাওয়ার মধ্যে নাগরিক পরিষেবার কোনও কিছুই ছিলনা। মানুষ এই অপশাসনের জন্য বিজেপিকে একটা শিক্ষা দিয়েছেন।’ গর্গ আরও বলেছেন, চন্ডীগড় একটা নমুনা মাত্র। সামনে পাঞ্জাব বিধানসভাতেও মানুষ মুখিয়ে আছে চিরাচরিত দলগুলির বিকল্প খোঁজার জন্য।’

জানা গেছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলও বিজেপিকে যথেষ্ট বিপাকে ফেলেছে। এই কোন্দলের জন্য উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে চন্ডীগড়ের। গত নির্বাচনের সময় ২৬টি আসন ছিল (এবার বেড়ে ৩৫টি)এই পৌর এলাকায় যার মধ্যে বিজেপি একাই ২১টি আসন পায়। এখানকার মেয়র পদটি প্রতিবছর পরিবর্তিত হয়। একজন মেয়র কাজ চালান ১বছরের জন্য। পরের বছর নির্বাচিত সদস্যরা ফের মেয়র নির্বাচন করেন।
এই মেয়র পদটির জন্য ব্যাপক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব হয় বিজেপির মধ্যে। বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি অরুণ সুদ যিনি কিনা সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছের লোক বলে পরিচিত তিনি নিজেও এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে উৎসাহিত করার কাজে অভিযুক্ত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল স্বরূপ বিদায়ী বোর্ড উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে সময়মত রাস্তা সংস্কার, বন্যা নিয়ন্ত্রণনের মত বিষয়গুলি ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বের কাছে ‘সুন্দর শহর’ হিসাবে চন্ডীগড়কে গড়ে তোলার যে প্রকল্প ছিল তা করা সম্ভব হয়নি।

চন্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত হওয়ায় এর দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্র সরকারেরও। ২০১৪ সাল থেকে এখানকার সাংসদ অভিনেত্রী কিরণ খের। বিজেপির বর্তমান বিদায়ী মেয়র রবিকান্ত শর্মা গো-হারান হেরেছেন শুধু তাই নয় দুজন প্রাক্তন মেয়রও পরাজিত হয়েছেন। চন্ডীগড় জেতার জন্য বিজেপি এবার স্টার ক্যাম্পেইনের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর থেকে শুরু করে একগুচ্ছ নেতাকে আনা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। চন্ডীগড়ের সভাপতি অরুণ সুদ বলেছেন, ‘ আমরা আরও ভালো ফলের প্রত্যাশা করেছিলাম। কেন সেটা হলনা তা আমরা পর্যালোচনা করব। তবে মেয়রপদের জন্য দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরোধীদের এই দাবি ভিত্তিহীন।’

- Advertisement -
Latest news
Related news