Monday, May 20, 2024

Caged Parrot CBI: ৭ বছর পরে ‘খাঁচার তোতাপাখি’ সিবিআইয়ের এর মুক্তি চায় আদালত

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা সিবিআই (CBI)কে সরকারের খাঁচার তোতাপাখি বলে কটাক্ষ করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার বদলেছে কিন্তু সিবিআইয়ের ওপর চাপানো সেই অভিযোগের কোনও হেরফের হয়নি। বরং বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ এখনও সিবিআইকে সরকারের প্রতি পক্ষপাত দুষ্ট এবং শাসকের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার বলেই মনে করে। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সিবিআই-এর সাথে ই.ডি, আয়কর বিভাগকেও বিরোধী কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারংবার। সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এবার খাঁচা মুক্ত করার পরামর্শ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

আদালতের বিচারপতিরা বলেছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই (CBI) কে একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থায় পরিণত করা উচিৎ। হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ এমনই মন্তব্য করেছেন বুধবার। বিচারপতি এন. কিরুবাকরান এবং পি. পুগালেন্ধি একটি রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘ সিবিআই N(CBI)য়ের উচিৎ ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতই স্বাধীনভাবে কাজ করা। তাঁদের জন্য আলাদা করে অর্থের সংস্থান রাখা উচিৎ দেশের বাৎসরিক বাজেটে।”

হাইকোর্ট আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের উচিৎ এ বিষয়ে আইন পাশ করা যাতে সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা হিসাবে কাজ করতে পারে। ওই দুই বিচারপতি তাঁদের রায়ে মন্তব্য করেছেন, ” সিবিআই ডিরেক্টরের সেই ক্ষমতা থাকা উচিৎ যে ক্ষমতার বলে তিনি সরাসরি সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন যেমন করে থাকেন ক্যাবিনেট সচিব। এবং তিনি একাকি কাজ করতে সক্ষম হবেন কেন্দ্র সরকারের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে।”

এদিন বিচারকরা আরও মন্তব্য করেছেন, সিবিআইকে সেই সমস্ত আধুনিকতার সুবিধা ও প্রযুক্তি প্রদান করা উচিৎ যা কিনা  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই(FBI) কিংবা গ্রেট ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা ব্যবহার করে থাকে। বিচারপতিদ্বয় তাঁদের রায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোট ১২টি পয়েন্ট উল্লেখ করে বলেছেন, এই আদেশ আসলে তোতা পাখিকে খাঁচা মুক্ত করারই একটি উদ্যোগ।
- Advertisement -
Latest news
Related news