Wednesday, May 15, 2024

Death By Bee Sting: ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি! বাইক ফেলেও রক্ষা পেলেননা ব্যক্তি, মৌমাছির দংশনে পশ্চিম মেদিনীপুরের মৃত্যু কাঠ ব্যবসায়ীর

In a tragic incident, a trader was killed by bee sting in a dense forest of West Midnapore. With severe bite another Two more were injured. The incident in Goaltore police station area of ​​West Midnapore has caused a stir in the area. Police have collected the bodies and sent them for autopsy. Only then can it be ascertained whether the person really died from the bee sting. However, the two injured persons said that they were also bitten by bees. According to local sources, the incident took place at noon on Wednesday in the forest of Durgabandh of Goaltore police station. Police sources said the deceased was identified as Gopal Barui.

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক মর্মান্তিক ঘটনায় মৌমাছির হুল দংশনে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। দংশনে গুরুতর
আহত আরও ২জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ সংগ্ৰহ করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে সত্যি সত্যি মৌমাছির দংশনেই মৃত্যু হয়েছে কিনা ওই ব্যক্তির। তবে আহত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁদেরকেও মৌমাছি দংশন করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালতোড় থানার দুর্গাবাঁধের জঙ্গলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ব্যক্তির নাম গোপাল বাড়ুই।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল বলে খ্যাত গোয়ালতোড় থানার দুর্গাবাঁধ জঙ্গলটি জিরাপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের অধীন। বাঁকুড়া জেলার ঘন জঙ্গলবেষ্টিত অংশের সাথে মিশে গিয়েছে এই দুর্গাবাঁধ জঙ্গল। বুধবার সেই জঙ্গল এলাকাতেই গাছের খোঁজে গিয়েছিলেন ৪৫ বছরের গোপাল।
বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়া অঞ্চলের দুর্গাবাঁধ এলাকায়। ওই থানারই ঢেঙ্গাদহ গ্রামে বাড়ি গোপালের। গোপাল কাঠের ব্যবসা করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কিনে তা চিরে কাঠ বানিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। সেই কাঠের সন্ধানেই দুর্গাবাঁধ জঙ্গল দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় মৌমাছির খপ্পরে পড়েন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কাজ সেরে ওই জঙ্গল দিয়ে ফিরছিলেন গোপাল। সেই সময় তাঁর মাথার ওপরে থাকা একটি গাছে বড় মৌমাছির চাক পাখির ঠোক্কর অথবা অন্য কোনও কারণে ভেঙে পড়েছিল। ফলে ক্ষুব্ধ মৌমাছির ঝাঁক দিগবিদিগ আক্রমনে নেমে পড়ে। ঠিক সেই সময়েই গোপাল ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি মৌমাছির আক্রমনের ঝাঁকের মধ্যে পড়ে যান। বারংবার দংশনের পর গোপাল বাইক ফেলে গোপাল রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলের ভেতরে দৌড়ে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁর আশা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢুকে গেলে রেহাই পাবেন তিনি। কিন্তু পিছু ছাড়েনি মৌমাছির দল। তারাও ধাওয়া করে গোপালকে। জঙ্গলের ভেতরেই গোপাল পড়ে থেকে যান।

এদিকে গোপাল যে জঙ্গলে পড়ে রয়েছেন এটা কেউ জানতেই পারেননি। গোপালের আগেই অন্য একটি বাইকে ২ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। ওই রাস্তা দিয়েই যাওয়ার সময় মৌমাছির ঝাঁকের প্রথম আক্রমনের শিকার হয়েছিলেন তাঁরাই। চাক ভেঙে পড়া মৌমাছির ঝাঁকটির মধ্যে না বুঝেই বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন তাঁরাই। মৌমাছির দংশনের মধ্যেই তাঁরা বাইকের গতি বাড়িয়ে কোনমতে এলাকা ছাড়েন এবং সামনের একটি লোকালয়ে গিয়ে প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন হওয়ার আগেই তাঁরা ওই লোকালয়ের গ্রামবাসীদের জানান, তাঁদের পেছনে থাকা আরও এক বাইক আরোহী আসছিলেন। সম্ভবতঃ তিনিও মৌমাছির খপ্পরে পড়েছেন।

কিছু ব্যক্তি ওই দুই আহতকে নিয়ে গোয়ালতোড়ের কেয়াকোল গ্রামীন হাসপাতালের দিকে রওনা হন। গ্রামবাসীদের অন্য একটি দল গোপালের খোঁজে যায়। রাস্তায় বাইক পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এরপর আশেপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় অচেতন গোপালকে। তাঁকে নিয়েও গোয়ালতোড়ের কেওয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালে ছোটেন গ্রামবাসীরা কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়ে দেন আগেই মৃত্যু হয়েছে গোপালের। এরপরই অন্য ২ আহতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এঁদের বাড়ি চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় বলে জানা গেছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news