নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোল বদলে যাচ্ছে খড়গপুর রেল স্টেশনের (KGP Rly. Station)। স্টেশনের উত্তর দিক অর্থাৎ বাস টার্মিনাসের দিকের আদ্দিকালের বুকিং কাউন্টার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুরানো ও নবনির্মিত ফুট ব্রিজটির মাঝামাঝি। বুকিং কাউন্টারটিকে আরও আধুনিক ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যবাহী করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানালেন খড়গপুর রেল ডিভিশনের ম্যানেজার মনোরঞ্জন প্রধান (Manoranjan Prdhan)। শুক্রবার Kharagpur DRM ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান আরও জানিয়েছেন, নবনির্মিত দ্বিতীয় ফুটব্রিজটির দু’দিকেই লিফট এবং চলমান সিঁড়ি বা এস্ক্যালেটার (Escalator) বসানো হবে। পুরানো ব্রিজটির উত্তর দিকেও লিফট এবং এস্ক্যালেটার সংস্থাপন করা হবে।
রেলসূত্রে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা করা হচ্ছে পুরানো বা এক নম্বর ফুট ব্রিজটির ওপর চাপ কমানোর। সে ক্ষেত্রে কিছু ট্রেন বর্তমান প্ল্যাটফর্ম গুলির পশ্চিম প্রান্তেই দাঁড় করানো হবে। এরফলে মানুষ বেশি বেশি করে দ্বিতীয় ফুট ব্রিজ ব্যবহার করার পর সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ফুটব্রিজটি অনেকবেশি প্রশস্ত ও সিঁড়িগুলির ধাপ সহজ ব্যবহার যোগ্য হওয়ায় যাত্রীরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন। যে কারনে কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম পশ্চিমদিকে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্টেশনের দক্ষিণ দিকে বোগদার দ্বিতীয় ফুটব্রিজটির কাছাকাছি একটি বুকিং কাউন্টারও করা হবে।
DRM আরও জানিয়েছেন, খড়গপুর স্টেশনের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা জল নিকাশি ব্যবস্থা। পুরানো নিকাশি ব্যবস্থা আর ঠিকঠাক কাজ করে উঠতে না পারায় স্টেশন চত্বরে জল জমে দুর্ভোগ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত: গোলবাজার এলাকাতেও জল জমে সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য আধুনিক ভাবে নিকাশি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গোলবাজার অংশের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। স্টেশন চত্বরের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই যাতে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় সেদিকে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
খড়গপুর শহরে জল জমার জন্য পৌরপ্রশাসনের পক্ষ থেকে রেলের ওপর দোষ চাপানো হয়ে থাকে প্রায়। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টে প্রকান্তরে শহরে জলনিকাশি ব্যবস্থায় রেল এবং পৌরপ্রশাসন যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে পুরসভার অনীহাকেই দায়ী করা হয়েছে। পুরসভার আরও একটি অভিযোগ যে, রেল এলাকায় পুরসভার উন্নয়নের কাজে রেল প্রশাসন বাধা দেয়। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মনোরঞ্জন প্রধান বলেছেন, ” রেল এলাকায় কেউ উন্নয়ন করতে এলে সেতো রেলেরই লাভ কিন্তু তার জন্য রেলকে আগাম জানানো হবেনা? কারও বাড়িতে অন্য কেউ যদি অনুমতি ছাড়াই ঢুকে পড়ে তাকে কী চোখে দেখা হবে?’ DRM আরও জানিয়ে দিয়েছেন, রেল এলাকায় অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করা হবেনা। বরং রেলের ফাঁকা জায়গায় কেউ যদি অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, টার্মিনাল, ওয়্যারহাউস, পার্ক, ইত্যাদি করতে চায় রেল তাকে স্বাগত জানাবে।