নিজস্ব সংবাদদাতা: ফেক প্রোফাইল তৈরি করে একটি স্কুলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপে ঢুকে গিয়ে শিক্ষিকা, ছাত্রীদের অশ্লীল ছবি পাঠানো, নোংরা ম্যাসেজ করা, ভুয়ো ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকরে ছাত্রী, শিক্ষিকাদের হেনস্থা করা ইত্যাদি বেশ

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম মহাবীর কুমার। মহাবীর পাটনার বাসিন্দা। খড়গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু ছাত্রীদের হেনস্তা করাই নয়, স্কুলের শিক্ষকদের বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ছাত্রীদের ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই থেমে থাকেনি ওই যুবক। ছাত্রীদের অভিযোগ অনুযায়ী, অ্যাডমিনের অনুমতি না নিয়ে স্কুলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপেও ঢুকে পড়ে ওই যুবক। হোয়াটস্যাপ গ্রুপের আইকনও বদলে দেয়।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সাগর সিং কলসী জানান, গত ৬ অগস্ট স্কুলের অধ্যক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ছাত্রী ও শিক্ষকদের নানা ভাবে হেনস্তা করার জন্য মহাবীর ৩৩টি হোয়াটস্যাপ নম্বর অবৈধভাবে ব্যবহার করত। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানান, ‘আমরা প্রথমে হোয়াটস অ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম, ইমেল আইডিগুলিকে ভালোভাবে যাচাই করি। এরপর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অভিযুক্ত কোথায় রয়েছে, তার লোকেশন খোঁজার চেষ্টা করা হয়। সেইমতো পাটনায় ছেলেটির বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।’
পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক তিন বছর আগে একজন ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করে। ভুয়ো কলার আই ডি ব্যবহার করে ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। যোগাযোগের সময় গলার স্বর পরিবর্তন করা হত যাতে ধরতে না পারা যায়। এরপর সেই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর ও হোয়াটস্যাপ নম্বরের সূত্র ধরেই পৌঁছে যায় অনলাইন ক্লাশে। আর সেখান থেকে তার হাতে চলে আসে আরও অনেক নম্বর। যদিও এই প্রক্রিয়া সে কী ভাবে করত সেটা জানার এখনও বেশ কিছু বাকি রয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হ্যাকিংয়ের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পাওয়ার জন্যই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে।