নিজস্ব সংবাদদাতা: যে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে চায়না সেই স্বামীর খাটের তলায় কন্ডোম কেন? কেন কন্ডোম মেলে খড়ের চালে, দেওয়ালের খাঁজে? এরপরই সন্ধান করতে শুরু করেন স্ত্রী আর তারপরই উঠে আসে মারাত্মক চিত্র। দেখা যায় পাশের বাড়ির এক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে দিনের পর দিন লাগাতার যৌন সঙ্গম চালিয়ে যাচ্ছেন স্বামী। স্ত্রীর মারফৎই খবরটি কানাকানি হতে হতে জানতে পারে ওই কিশোরীর পরিবারও। এরপর তাঁদেরই অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকার ঘটনায় ওই যুবক আপাতত জেলের গারদে।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা দাসপুর থানার একটি গ্রামের। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম প্রশান্ত পাল। প্রশান্ত দুই শিশু সন্তানের বাবা। সংসার চালাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই দিন মজুরি করতে হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যেই নানা অজুহাতে বাড়িতে থেকে যেতেন ওই যুবক। স্ত্রী কাজের জন্য বাড়ির বাইরে, বাচ্চা দুটো ছোট। আর এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে প্রশান্ত ডেকে নিয়ে আসত পাশের বাড়ির ওই ১৩ বছরের কিশোরীকে। তারপর চলত যৌন সম্পর্ক। পুলিশ জানিয়েছে, প্রশান্তর স্ত্রী প্রথমে বাড়ির মধ্যে কিছু ব্যবহৃত কণ্ডম দেখতে পায়। প্রশান্ত প্রথম দিকে সেগুলো অন্য কারো বদমায়েশি বলে এড়িয়ে যায়। কিন্তু এরপর স্ত্রী কিছু অব্যবহৃত কন্ডোম দেখতে পায় খাটের বিছানার তলায়, চালে গোঁজা। এরপরই ব্যপক ঝামেলা বাঁধে স্বামীর সাথে।
স্ত্রী মূল বিষয়টি আড়াল রেখে ওই কিশোরীর পরিবারকে তাদের বাড়ি আসতে বারণ করে। এরপরই সন্দেহ হয় কিশোরীর পরিবারের। কিশোরীকে জেরা করে তারা জানতে পারেন প্রশান্তের কুকীর্তি। এরপরই প্রশান্তের বিরুদ্ধে দাসপুর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পেয়ে নিজের শ্বশুরবাড়ি পালিয়ে যায় প্রশান্ত। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ২৯ শে জুলাই রাতেই প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রশান্তের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু-সুরক্ষা আইনে(পসকো) মামলা করা হয়েছে। এদিকে আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার প্রশান্তকে ঘাটাল আদালতে তোলা হয়ে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন ওই কিশোরী এবং প্রশান্ত দুজনেরই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে পুলিস জানিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।