Friday, May 3, 2024

SSC Scam: 2016 থেকে পড়াচ্ছেন এমন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য তলব আদালতের! অস্বস্তির মুখে রাজ্য

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইতিমধ্যেই চাকরি চলে গেছে কয়েক শত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর। এ সংক্রান্ত চালু মামলায় আরও কত শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি যেতে পারে তা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যেই আরও প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ল রাজ্যের শিক্ষা দফতর তথা রাজ্য সরকারও। কলকাতা হাইকোর্ট গত ছ’বছরে নিযুক্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব চাইল । বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই হিসাব চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। পাশাপাশিই দু’সপ্তাহের সময় দিয়ে বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

মনে করা হচ্ছে এই নির্দেশ দিয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার স্কুলের চাকরি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তল্লাশি চাইছে আদালত। ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটিই পরীক্ষা হয়েছে এবং দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তভার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের তরফে। তবে এই নিয়োগ যাচাইয়ের দায়িত্ব জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি বসুর অভিমত, জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা নিয়োগে অনিয়ম বা জালিয়াতির দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার একটি স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে চলা মামলার বিষয় নিয়ে এরকমই নির্দেশ দেন বিচারপতি। ওই মামলা চলছে ওই স্কুলেরই প্রধানশিক্ষক এবং তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এই যে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের নথি জাল করে প্রধানশিক্ষক পিতার স্কুলে চাকরি পান পুত্র। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিস্মিত বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন! এর পরেই বিচারপতির সংযোজন, তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে! ঘটনার জল কতদূর গড়ায় তাই নিয়ে এখন চাঞ্চল্য শিক্ষা মহলে।

- Advertisement -
Latest news
Related news