নিজস্ব সংবাদদাতা: 6667 জন প্রতিযোগী তার মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক 25 জনকে সেরার তালিকায় বেছে নিয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পোট্রেট এঁকে ওই সেরা 25 এর মধ্যে খড়গপু্রের অনীক জানা। কলাইকুন্ডায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়-১ এর ক্লাস নাইনের ছাত্রকে দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে হাজির হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের খরচেই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আজ খড়গপু্র পুরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডের আরামবাটির বাড়ি ফিরেছে ১৫ বছরের কিশোর। আর তাকে ঘিরে উদ্বেল খড়গপু্র শহর। শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার বেলা ১ টা নাগাদ ট্রেনে খড়গপু্র স্টেশনে এসে পৌঁছালে অনীক কে মালা পরিয়ে অভিন্দন জানান আরামবাটি ও খড়গপু্র শহরের বাসিন্দারা।
জানা গেছে ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাই গভর্মেন্ট (MyGov) যৌথ উদ্যোগে দেশ জুড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পোট্রেট আঁকার প্রতিযোগিতায় শিশু কিশোরদের যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়। ১১-২০ জানুয়ারি ছবি এঁকে অনলাইনে ছবি জমা দিতে বলা হয়। অনীক সহ সারা দেশের 6667 জন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে 25টি ছবি বেছে নেওয়া হয়। বাংলা থেকে নির্বাচিত হয় অনীক। অনীক সহ বিজিতদের 25 জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের সঙ্গে মিলিত হন। 26 জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে দর্শক আসনে আমন্ত্রিত জানানো হয় অনীকদের।
অনীকের বাবা জয়ন্ত জানা খড়গপু্রের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি বলেন, ” ছবি আঁকার পাশাপাশি ভাস্কর্য তৈরিতেও সমান আগ্রহ রয়েছে অনীকের। অনীক আঁকা শুরু করে ছিল প্রশান্ত নাথ নামক জনৈক আঁকার শিক্ষকের কাছে। তারপর নিজে নিজেই আঁকে সে। এই মুহূর্তে জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও রাজ্য মিলিয়ে ২০০ পুরস্কার রয়েছে অনীকের ঝুলিতে। ” ২০২১ এবং ২২ সালে ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রতিযোগিতায় স্টেট উইনার, ইন্টার ন্যাশনাল পিকাসো প্রতিযোগিতায় ২০২০ সালে স্টার এবং ২০২২ সালে ডায়মন্ড আর্টিস্ট মর্যাদা পায় অনীক। এছাড়াও আইআইটি খড়গপু্র, দিল্লি ফুড কর্পোরেশন, আন্তঃ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলোর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে সে। তার হাতে গড়া দুর্গা Kharagpur Mini India সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অনীকের মা গৃহবধু অপর্ণা জানা বলেন, “আমার ছেলের আঁকা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পোট্রেট দিল্লির বাল ভবনে প্রদর্শিত হবে জেনে খুব ভাল লাগছে। বাংলার ও বাঙালির নাম সারা ভারতে আরও উজ্জ্বল করুক এটাই আমার চাওয়া।” আরামবাটির এক গৃহবধূ সোনালী সিং জানান, ” প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির কুজকাওয়াজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ যে কোন ভারতবাসীর কাছেই গৌরবের। খড়গপু্র শহরের বাসিন্দা হিসেবে অনীকের এই সাফল্যে আমি নিজেও গর্বিত। ২০০৭ সালে NCC ক্যাডার হিসেবে আমি এই কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই অনীকের আনন্দটা আমি উপলব্ধি করতে পারছি।”
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, প্রজাবাড় (ময়না, পূর্ব মেদিনীপুর) যত দূর চোখ যায়, সবজি…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল- ২০৮ চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী দামোদরজীউ মন্দির, হাসিমপুর (কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর) মেদিনীপুর জেলার…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শিব মন্দির, মিত্রসেনপুর (চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর)বহুকালের প্রাচীন নগরী চন্দ্রকোণা। ভানবংশ,…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশলক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, শ্রীরামপুর (সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর) জমিদারী গড়েছিলেন বটে, বৈষয়িক ছিলেন…
জীর্ণমন্দিরের জার্ণাল চিন্ময় দাশ শ্রীশ্রী রসিকনাগর জীউ মন্দির, জয়ন্তীপুর (চন্দ্রকোণা শহর) মন্দির নগরী চন্দ্রকোণা। এর…
জীর্ণ মন্দিরের জার্ণাল— ২০৪ চিন্ময় দাশবিষ্ণু মন্দির, মার্কণ্ডপুর (পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর) রূপনারায়ণ নদ—মেদিনীপুর জেলার পূর্বাংশের…