নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা (Corna) পরিস্থিতি কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পর ১৬ই নভেম্বর চালু হয়েছিল নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন, খুলে গেছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। এবার তার দেড় মাসের মাথায় শুরু হতে চলেছে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের পঠন পাঠন। এবার প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীরও পঠনপাঠন চালু হতে চলেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকেই এই ক্লাশ চালু করা হবে এমনটাই ধরে নিয়ে স্কুলগুলির পরিস্থিতি, পরিকাঠামো জানতে চেয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। সোমবার শিক্ষা দপ্তর থেকে এমনই নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে জেলাশাসকদের (DM) কাছে।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে জানাতে হবে। মিড-ডে মিল প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর জেলাশাসকদের পাশাপাশি সরকারের অন্য কয়েকটি দপ্তরেও চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠির ভিত্তিতেই শিক্ষামহল মনে করছে, কোভিড (COVID-19)পরিস্থিতির অবনতি না হলে ২ জানুয়ারি থেকে স্কুলের বাকি ক্লাশগুলিও চালু হয়ে যাবে। বর্তমানে এদের ক্লাশ চলছে অনলাইনে। কিন্তু তাতে পঠনপাঠনে অসুবিধার কথা বলছেন অভিভাবকরা। তাই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু করার দাবিও উঠেছে। এবার সেসব দাবির নিরিখেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খোলা হচ্ছে স্কুল।
উল্লেখ্য গত অক্টোবর মাসেই কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল দিনের পর দিন স্কুল বন্ধ থাকা এবং রান্না করা মিড-ডে-মিল চালু না হওয়ায় মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে দেশের প্রান্তিক গরিব পরিবারের শিশুরা। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। স্কুলের মিড ডে মিল পরিচালনা সংক্রান্ত সেই বিশেষ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে “প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ” প্রকল্পে স্কুলগুলির মিড-ডে-মিল সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ার জন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়। ঐ নির্দেশ বলা হয় অবিলম্বে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুল ও মাদ্রাসা খুলে রান্না করা খাবার দেবার ব্যবস্থা রাজ্য সরকার কে নিতে হবে।না হলে বহু শিশু অপুষ্টি ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগবে।
তাই পঠনপাঠনের পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলগুলি যাতে শুরুর দিন থেকেই মিড ডে মিল যথাযথভাবে সরবরাহ করা হয়, সেইদিকটাই আগে খতিয়ে দেখতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তর জেলা শাসকদের ওই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে । আপাতত এই ভাঁড়ারে কত পরিমাণ খাবারদাবার আছে, সেসব তথ্য বিস্তারিত পাঠাতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। আগামী তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ক্লাসরুম স্যানিটাইজ করার পদ্ধতিও শুরু হবে। মনে করা হচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২রা জানুয়ারি থেকেই ফের স্কুল প্রাঙ্গণে ছোটদের পা পড়তে চলেছে।