Saturday, July 27, 2024

Utsashree: গ্রামের স্কুল উজাড় হচ্ছে, টনক নড়ল সরকারের! আর চাইলেই বদলি নয়, উৎসশ্রীতে নয়া বদল

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘উৎসশ্রী’তে বদলের হিড়িক আর সেই হিড়িক সামলাতে একের পর এক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রামের স্কুল। সবাই ছুটছে শহর কিংবা মফঃস্বলে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতেই যে পোর্টাল চালু করেছিল রাজ্য সরকার সেই পোর্টাল চালুর পর এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়। পোর্টালের মাধ্যমে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা শহরে বদলির আবেদন জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের স্কুল গুলিতে শিক্ষকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে । রাজ্যের বিদ্যালয় প্রধানদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস বা ‘এএসএফএইচএম’ ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে সরকারকে। তাঁরা জানিয়েছেন প্রবল শিক্ষা বৈষম্যের শিকার হতে চলেছে গ্রামের পড়ুয়ারা। এমন পরিস্থিতি উৎসশ্রীতে আবেদনের জন্য কিছু বদল আনল রাজ্য।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর একটি গেজেট প্রকাশ করে বুধবার জানিয়েছে, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে এবার বয়স ও স্কুল থেকে বাড়ির দূরত্ব অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরা হবে। পাশাপাশি গেজেট অনুসারে যদি কোনও স্কুলে কোনও বিষয় শুধুমাত্র একজন শিক্ষক থাকেন সেক্ষেত্রে সেই ‘সিঙ্গল টিচার’ বদলির আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি আটকাতে পারবেন। শারীরিক অসুস্থতার ভিত্তিতে বদলির আবেদন করলে অনুমোদিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ৪০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে তিনি বদলিতে সুবিধা পেতেন। তবে এখন তা পরিবর্তন করে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে।

এডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ পড়ুয়াই গ্রামীণ এলাকার বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। শিক্ষকের অভাবে এই স্কুলগুলির অবস্থা নাজেহাল। পরিস্থিতি এমনটা থাকলে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। উৎসশ্রীর দৌলতে গ্রামীণ স্কুলগুলিতে শূন্যপদ বাড়ছে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলেই গড়ে শিক্ষক প্রতি ১০০ পড়ুয়া থাকছে। এর জেরে পড়াশোনার মান প্রভাবিত হচ্ছে। অথচ নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বা এসএসসি মারফৎ শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই সরকারকে সতর্ক করেছি।

উৎসশ্রীতে বাকি নিয়ম অবশ্য একই থাকছে যেখানে বলা হয়েছে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের সরকার পরিচালিত ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষিকা হতে হবে। যদি আবেদন ইচ্ছুক শিক্ষক শিক্ষিকা এর আগের বদলি নিয়ে থাকেন তাহলে সেই বদলির পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়ে থাকতে হবে। যে স্কুল ছেড়ে যেতে চাইছেন সেই স্কুলে ৫ বছর কাজ হয়ে থাকতে হবে। যদি পূর্বে কোন বদলির আদেশ প্রত্যাখ্যান করে থাকেন তাহলে সাত বছর অবধি আবেদন করা যাবে না।কোন শিক্ষক শিক্ষিকা সাসপেন্ড থাকলে তারা আবেদন করতে পারবেন না।কোন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট কেস চললে তারা আবেদন করতে পারবেন না।

- Advertisement -
Latest news
Related news