নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃষ্টি যেন সম্মান রাখল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। হওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনেই বুধবার বৃষ্টি হল খড়গপুর মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রামে। বুধবারের সাত সকালেই বৃষ্টিতে ভিজল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, মেছেদা, কোলাঘাট। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্জার কারণেই গত কয়েকদিন ধরে পারদ চড়েছিল অনেকটাই ওপরে। আকাশে জমছিল মেঘ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান বাড়ছিল। আর তার ভিত্তিতেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল মঙ্গল বুধবার বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলা গুলিতে। আর সেই পূর্বাভাস মেনে মঙ্গলবার যেমন তেমন করে পেরিয়ে গেলেও বুধবার সাত সকালেই বৃষ্টি হয়ে গেল দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায়।
বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে পৌনে ছ’টার মধ্যে বৃষ্টির মুখ দেখেছে খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম। মিনিট ১৫ ধরে চলা এই বৃষ্টির প্রকৃতি ছিল মাঝারি ধাঁচের। বড় ফোঁটার বৃষ্টি হয়েছে খানিকটা ঝমঝমিয়ে। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। শহরগুলির রাস্তাঘাট ভিজে চপচপে হয়ে যায়। শীতের ধুলো মেরে ঝকঝকে তকতকে হয়ে ওঠে রাস্তাঘাট। মরসুমি ফুলের বাগান বৃষ্টির ফোঁটায় চকচক করতে থাকে। এদিন দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি হয়েছে সকাল ৭টা নাগাদ। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য। আকাশে কালো মেঘ চিরে মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দিলেও মোটের ওপর আকাশ মেঘের দখলেই রয়েছে। বৃষ্টি হাওয়ায় কমে যাওয়া শীত হঠাৎ করে বেড়েছে, ফেলে রাখা চাদর ফের গায়ে চড়িয়েছে তিন শহরের বাসিন্দারা।
এদিকে পশ্চিমি ঝঞ্জার প্রকোপ এখুনি না কমায় খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে অনেকটাই। মঙ্গলবার এই এলাকার নূন্যতম তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে 15.8 ডিগ্রী সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ 26.14 ডিগ্রী আর দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল 20.11 ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর প্রায় সবই আগের দিনের চেয়ে ১ ডিগ্রী করে বেশি। সব মিলিয়ে গরম বেড়েছে অনেকটাই।
তবে এই পরিস্থিতি কাটতে চলেছে নতুন বছরের গোড়াতেই । আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলার আবহাওয়ার ক্যালেণ্ডার জুড়ে এখন শুধুই বিরাজ করবে শীত আর শীত। সময় হয়েছে দুপুর রোদে টান টান হয়ে বসে রোদ পোহানোর, সেইসঙ্গে পিঠে পুলি খাওয়ার। লেপ, কম্বল ইতিমধ্যেই আলমারি থেকে জায়গা করে নিয়েছে মানুষের বিছানায়। এখন সময় ঘুরতে যাওয়ার সময় বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোর কিংবা ঘাগরা জলপ্রপাত, তারাফেনী ব্যারেজ অথবা কাঁসাই পাড়ের পিকনিকের।