Saturday, July 27, 2024

Tmc Leader Beaten: বন্যাত্রানের টাকা হাপিসের অভিযোগে গনধোলাই খেলেন তৃনমূল নেতা! পোষ্টে বেঁধে পেটালো জনতা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্যায় সর্বসান্ত হয়েছেন মানুষ কিন্তু যাঁরা সর্বস্ব হারিয়েছেন তাঁদের আ্যকাউন্টে টাকা ঢোকেনি ঢুকেছে নেতাদের আ্যকাউন্টে। এমনই অভিযোগ তুলে এক তৃনমূল নেতাকে বেধড়ক পেটালো ক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি তাঁকে পোষ্টে বেঁধে পেটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত জনতাকে উদ্ধার করতে হয় ক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় জনতাকে। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে জনতা। জনতার অভিযোগ, এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। উল্টে নির্দোষ মানুষদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

শুক্রবার হরিশচন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বরোই গ্ৰামপঞ্চায়েতের চোপালমোড় এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গেছে গণধোলাই খাওয়া ওই তৃণমূল নেতার নাম কুণালকান্তি দাস। কুণালকান্তি আবার বরোই গ্রামপঞ্চায়েতেই এক তৃণমূল পঞ্চায়েতে সদস্যের পম্পা দাসের স্বামীও। অভিযোগ, ২০১৭ সালে ত্রাণ বণ্টনের একটি অভিযোগ উঠেছিল গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেখানে টাকা আত্মসাতে নাম জড়ায় কুণালকান্তিরও। ঘটনার রেশ গড়িয়েছে আদালত অবধি। আদালত বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। পুলিশ সেই কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন সময়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সম্ভাব্য অভিযুক্তদের।

  এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওখানকার এক তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃনমূল নেতা কুনালকান্তি একেক ব্যক্তির নামে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন । মানুষের আরও অভিযোগ এই কুনালকান্তির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেনা উল্টে যাঁরা নির্দোষ তাঁদেরই হয়রানি করেছে। শুক্রবার কুণালকে রাস্তায় পেয়ে তাঁকে আটকায় এলাকার লোকজন। টানা হেঁচড়ার পর চলে চড় থাপ্পড়। এরপর একটি পোষ্টে বেঁধে ফেলা হয় তাঁকে। ঘিরে ধরে শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ শাসকদলের হয়ে ওকালতি করছে, এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

স্থানীয় তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট মানিক দাস বলেন, “খবরটা সকালে শুনেছি। এটা পুরোপুরি কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির লোককে উস্কে দিয়ে আমাদের এক সদস্যকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রশাসনকে বলেছি। প্রশাসন তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে। আমরা দলগত ভাবেও চিন্তা ভাবনা করছি, কী করা যায়। আসলে বিষয়টা হচ্ছে, যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন কংগ্রেসের বোর্ড ছিল। ২০১৭ সালে এই বন্যা হয়েছিল। তখন দু’টো তালিকা হয়েছিল। একটা কংগ্রেসের তরফে পঞ্চায়েতের তালিকা হয়। আরেকটা তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তৈরি করেছিলেন। কংগ্রেসের লোকরা একাধিক নাম ঢুকিয়েছে। কোথাও চারটে কোথাও পাঁচটা। ওরাই দুর্নীতিটা করেছে। এখন আমাদের উপর চেষ্টা করছে তা চাপানোর। যেহেতু প্রধানের সই আছে, তাই ওনাকে ফাঁসানো হচ্ছে। লিস্ট হয়েছিল ২০১৭ সালে। টাকা ছাড়া হয় ২০১৮ সালে।”

এ প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্রপুর দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “বরোই ২৮ নম্বর বুথের গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য পম্পা। ওনার কর্তাকে জন সাধারণ ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুনলাম নাকি মারধরও করেছে। ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে নিয়ে রেখেছেন। অথচ যারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সর্বস্ব হারিয়েছেন, তাঁরা কিছুই পাননি। একটা অ্যাকাউন্টে বার বার টাকা ঢুকছে, তা নিয়ে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের কেন কোনও প্রশ্ন এলো না মনে?” বিজেপি নেতার দাবি, এখন তৃণমূল অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলতে চাইলে তা তো হবে না! প্রশাসন, বিডিওকে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে নিয়ম মাফিক তদন্ত চলছে, কাউকেই হেনস্থা করা হয়নি। আইন রক্ষার জন্যই প্রহৃতকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা।

- Advertisement -
Latest news
Related news