Saturday, July 27, 2024

Pingla Tragic Death: পিংলায় শিশুমৃত্যু নিয়ে রহস্য ! রোদে দেওয়া লেপে জড়িয়ে মৃত্যু নাকি খুন ২বছরের শিশুকন্যা

Pingla in West Midnapore witnessed the tragic death of a child. A 2-year-old child has died while sleeping in the sun. The tragic incident took place at noon on Saturday in Uttarbar village under Bakhnabar gram panchayat under Pingla police station. Police sources said the name of the dead baby girl was Dipti Jana. Debashis Jana, a migrant worker in the village. Dipti was the only child of Debasish and Puja. Debashis had been at home for the last year and a half for the lockdown.He went to Andaman only 5 days ago. According to local sources, it has been raining continuously for several days due to Javad. The mattress was damp because the sun did not shine like that for the next few days. The mother of the baby girl covered the sun in the backyard of the house at noon when the sun was shining on Saturday. The child was playing in that blanket. Then the mother of the baby girl goes inside the worship room to cook. Meanwhile, when the child fell asleep. Puja was talking to her husband while cooking. Debashis also wants to know about the girl. Puja said he was playing on the blanket. After a while, the mother came out and saw that the girl was wrapped in a blanket and collapas by death.

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান: মর্মান্তিক শিশু মৃত্যুর স্বাক্ষ্য থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। রোদে দেওয়া লেপের মধ্যে জড়িয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এক ২বছরের শিশুকন্যার এমনই দাবি মায়ের যদিও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে যে লেপে জড়িয়ে এমন মৃত্যু হতে পারে কী না? শিশু মৃত্যুর এই রহস্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা থানার অন্তর্গত বাখনাবাড় গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তরবাড় গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত শিশুকন্যার নাম দীপ্তি জানা। গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক দেবাশিস জানা ও গৃহবধূ পূজার একমাত্র সন্তান দীপ্তি । উল্লেখ্য দেবাশিস রাজমিস্ত্রির কাজ করে আন্দামানে। লকডাউনের জন্য গত দেড় বছর বাড়িতেই ছিল সে। মাত্র ৫দিন আগেই ফের আন্দামানে গেছে সে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

শিশুর মা পূজা দাবি করেছে , কয়েকদিন ধরেই জাওয়াদের কারনে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়েছিল। তারপরের ক’দিনও তেমন করে রোদ ওঠেনি বলে লেপ তোষক স্যাঁতস্যাঁতে ছিল। শনিবার সূর্যের মুখ দেখায় দুপুর বেলায় বাড়ির উঠোনে লেপ রোদে দিয়েছিলেন তিনি। সেই লেপের মধ্যেই খেলছিল শিশুটি। এরপর রান্না করতে শিশুকন্যার মা পূজা ঘরের ভেতর চলে যায়। এদিকে শিশুটি কখন সে ঘুমিয়েও পড়ে। রান্না করতে করতেই স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিল পূজা। দেবাশিস মেয়ের কথা জানতেও চায়। পূজা জানায় লেপের ওপর খেলছে সে। কিছুক্ষণ পরে মা বাইরে বেরিয়ে দেখেন মেয়ে লেপের মধ্যে অপদমস্তক জড়িয়ে রয়েছে।

পূজার দাবি এরপরই তাড়াহুড়ো করে লেপ ছাড়িয়ে ছেলেকে বের করে তিনি দেখেন ছেলে নাড়াচাড়া করছেনা। তখনও ঘুমিয়ে আছে মনে করে প্রথমটায় কিছু মনে করেননি। কিন্তু টনক নড়ে একটু পরেই। দেখেন বুক ওঠানামা করছেনা ছেলের। নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখেন শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ছেনা। এরপরই চিৎকার করে ওঠেন মা। ছুটে আসেন মায়ের ঠাকুমা, প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষন পরে খবর পেয়ে আসেন বাবাও। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে। তিনিই জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে দীপ্তির। যদিও পুলিশ এই দাবি মানতে নারাজ কারন পুলিশের দাবি, লেপে জড়িয়ে দমবন্ধ হয়ে ২বছরের শিশুর মৃত্যু হতে পারেনা। এর পেছনে অন্য রহস্য রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দেবাশিস ও পূজার বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। দীপ্তি তাঁদের একমাত্র সন্তান। দেবাশিসের মা ও বাবা রয়েছেন। বাবাও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি কাজে গেছিলেন অন্যত্র। দেবাশিসের মা অর্থাৎ পূজার শাশুড়ি বাড়ির কয়েকটি ছাগল নিয়ে সামান্য দূরত্বে চরাতে গেছিলেন। এরই মধ্যে ঘটে যায় এই ঘটনা ঘটে গেছে ফলে প্রত্যক্ষদর্শী কেউ ছিলেননা। পুলিশ মৃতদেহ সংগ্ৰহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মা কে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির।

- Advertisement -
Latest news
Related news