নিজস্ব সংবাদদাতা: আইআইটি খড়গপু্র ক্যাম্পাসের একটি ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের পচন ধরা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। ২৩ বছরের ওই ছাত্র ফায়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়েছে ক্যাম্পাসের একটি ছাত্রাবাসের ঘর থেকে যেখানে কিছুদিন আগেই তিনি স্থানান্তরিত হয়ে এসেছিলেন বলেই জানা গেছে। রহস্য আরও যে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বলছে মৃতদেহটি সদ্য নয় কারন মৃতদেহটিতে পচন ধরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আইআইটি মেকানিকাল ইঞ্জনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জানের বাড়ি আসামের তিনসুকিয়ায় বলে জানা গেছে।
এখনও অবধি পাওয়া সূত্র অনুযায়ী শুক্রবার সকালে লালা লাজপত রায় ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে যদিও একটি সূত্র মারফত জানা যায় আইআইটি মেকানিকাল ইঞ্জনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র সম্প্রতি লালা লাজপত রায়ের বোর্ডার হয়ে এসেছিলেন, তিনি এর আগে রাজেন্দ্র প্রসাদ থাকতেন অন্য একটি ছাত্রাবাসে। এটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আই আই টি হল ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে মৃত শাজাহান আহমেদ লালা লাজপত রায় ছাত্রাবাসের যে ঘরটিতে থাকতেন সেই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বুঝতে পেরে ওই ঘরের সামনে গিয়ে দেখা যায় ঘরটি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না মেলায় ছাত্রাবাসের কয়েকজন ছাত্র মিলে রুমের দরজায় ধাক্কা দিতেই বোঝা যায় যে দরজাটি ভেজানো। আলতো চাপ দিতেই দরজা খুলে যায়। দেখা যায় মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন আহমেদ। তারপরই খবর দেওয়া হয় আইআইটি খড়গপু্রের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীদের। খবর যায় পুলিশে।
বেলা ৯ টার কিছু পরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন খড়গপু্র টাউন থানার অধীন আইআইটি খড়গপু্র ক্যাম্পাসে অবস্থিত হিজলী ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে তাঁরা খড়গপু্র মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ময়নাতদন্তের জন্য। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই বন্ধু এবং অন্যান্যদের। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলতে চায় পুলিশ। আইআইটি কর্তৃপক্ষ মৃত ছাত্রের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে। তাঁরা খড়গপু্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কেন ওই ছাত্র আবাস পরিবর্তন করে ছিলেন আর কেন লাঞ্চ বা ডিনারে অনুপস্থিত থাকা স্বত্বেও কেউ তাঁর খোঁজ করেননি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।