নিজস্ব সংবাদদাতা: বহুদিন ধরেই মুখ ফিরিয়েছে ইলিশ। দিঘার মৎস্য ব্যবসায়ীদের জ্যাকপট এখন তেলিয়া ভোলা। যাকে বলে মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার! শনিবার তেমনই ভান্ডার লুটে নিলেন দিঘা ভোলা মাছমোহনার এক ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী। একটি মাত্র তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি করে পকেটে ভরলেন প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা যা এযাবৎকালের রেকর্ড। ওই ব্যবসায়ীর নাম বিবেক করণ।কাঁথির শৌলার বাসিন্দা বিবেক করনের ট্রলার ধরণী গভীর সমুদ্র থেকে ফিরেছে শনিবার এবং সঙ্গে নিয়ে এসেছে সেই মহার্ঘ্য জ্যাকপট একটি ৩৪ কেজি ওজনের পেল্লাই স্ত্রী লিঙ্গের তেলিয়া ভোলা মাছ।
জালে গভীর সমুদ্রে জড়িয়ে ছিল মাছটি। সেই মাছ দিঘা মোহনায় কালিপদ শাসামলের আড়তে নিলামে তোলা হয়। দীর্ঘ দরাদরির পর মাছটি প্রতি কেজি ৭ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যে কিনে নেয় ‘সান’ নামের একটি সংস্থা। যার সর্ব মোট মুল্য নির্ধারিত হয় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ২০০ টাকা। মাছ কিনে নেওয়া ওই সংস্থা জানায়, ” এই মাছ যাবে বিদেশের বাজারে। জানা গেছে, তেলিয়া ভোলার পটকা বা অন্ত্রটি ব্যবহৃত হয় জীবনদায়ী ওষুধের ক্যাপসুলের খোল হিসাবে যা মানুষের পেটে গেলে সহজেই দ্রবীভূত হয়ে যায়। । জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি করে এমন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক বিভিন্ন সংস্থা চড়া দামে এই মাছ কিনে নেয়।
দিঘা-ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা জানান, আকাল ইলিশের বাজার। তারই মধ্যে মাঝে মাঝে এই রকম তেলিয়া ভোলার আমদানি হলে সরগরম হয়ে ওঠে মোহনা বাজার।
এদিন মাছটির দর হাঁকাহাঁকির সময় ভিড় জমে যায় আড়ৎ চত্বরে। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও ছবি তোলায় মেতে ওঠেন বহুমূল্যের পেল্লাই ওই তেলিয়া ভোলার সঙ্গে। আড়াই লক্ষের বেশি দাম মাছটিকে বিক্রি করতে পেরে খুশি ট্রলার মালিক বিবেক। এই প্রথম তাঁর ট্রলারের জালে জড়াল এত বড় তেলিয়া ভোলা মাছ। তবে আফশোস আছে খানিকটা। বিবেকবাবু বলেন, ‘ জালে ওঠা মাছটি স্ত্রী। পুরুষ কিংবা মিশ্র হলে আরও বেশি দাম উঠত।’ কারন স্ত্রী লিঙ্গের তেলিয়া ভোলার পটকা পুরুষ বা মিশ্র মাছের তুলনায় ছোট হয়। অর্থাৎ একই ওজনের স্ত্রী মাছের চাইতে পুরুষ কিংবা স্ত্রী-পুরুষ মিলিত গঠনের মাছের পটকার দৈর্ঘ্য বড় হয়।